পুঁটি মাছ কাটা নিয়ে তর্ক, স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
Published: 20th, April 2025 GMT
কুমিল্লায় বাজার থেকে আনা পুঁটি মাছ কাটা নিয়ে কথা তর্কের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার পর স্বামী বাছির উদ্দিন (৩৫) নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ করেন। শনিবার বিকেলে মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকার উত্তর ত্রিশ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বাছির উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে। নিহত মৌসুমী আক্তার (২৯) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার নবীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাছির উদ্দিন একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। তিনি আড়াই বছর ধরে মুরাদনগরের উত্তর ত্রিশ গ্রামের আলাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শনিবার বিকেলে কোম্পানিগঞ্জ বাজার থেকে পুঁটি মাছ কিনে নিয়ে যান বাছির উদ্দিন। সেই মাছ তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার কাটতে পারবেন না বলে জানান এবং তা স্বামীর দিকে ছুড়ে মারেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাছির তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, যখন বাছির উদ্দিন থানায় উপস্থিত হয়ে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা জানায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় আনা হয়েছে। বাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের পর রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।