ভোলায় ইন্ট্রাকো কোম্পানির চারটি গাড়ি আটকে দিয়েছে ছাত্র-জনতা
Published: 20th, April 2025 GMT
ভোলা থেকে সিএনজি আকারে ঢাকার কলকারখানায় দেওয়ার গ্যাস পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং কোম্পানির আরও চারটি গাড়ি আটকে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। শনিবার বিকেলে ভোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তিনটি গাড়ি আটকে দিয়ে সড়কে বিক্ষোভ করেছে। এর আগে শুক্রবার রাতে আরেকটি গাড়ি আটকে দেয় তারা।
সদরের ইউএনও মো.
ভোলার গ্যাস অন্যত্র নেওয়া বন্ধ করে ভোলায় গ্যাসভিত্তিক কলকারখানা স্থাপন, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে ছাত্র- জনতার ব্যানারে আন্দোলন চলছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গ্যাস পরিবহনের একটি গাড়ি ঢাকা যাওয়ার পথে বাস টার্মিনাল এলাকা আটকে দেয় ছাত্র-জনতা। তারা এ সময় ভোলার গ্যাস দিয়ে ভোলায় কলকারখানা স্থাপন ও ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে স্লোগান দেয়।
এর আগে শুক্রবার সকালে ভোলায় গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ ও গ্যাস পাচার বন্ধ করাসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করে বদ্বীপ ছাত্রকল্যাণ সংসদ।
এ বিষয়ে ইন্ট্রাকো কোম্পানির স্থানীয় কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন জানান, ছাত্র-জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিলিন্ডার পরিবহন করা গাড়ি ঢাকা যাওয়া সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
২০২৩ সালের মে মাসে ভোলার গ্যাস সিলিন্ডার করে ঢাকার কলকারখানায় সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রাথমিক পর্যায়ে দৈনিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঢাকার ১৮টি কারখানায় সরবরাহ করছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং কোম্পানি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সেনাবাহিনীর একটি দল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। এর আগে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের জমি থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাব্বির তার জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় একটি গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পান তিনি। বিশ্বম্ভরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়, এটি একটি তাজা গ্রেনেড। শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, ‘‘গ্রেনেডটির মডেল হচ্ছে এম-৩৬। এটি ব্রিটিশ আমলে সরবরাহ করা হত। ১৯৭২ সালের পর আর এটি সরবরাহ করা হয়নি। এখানে গ্রেনেডটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে একশ বছরের কমবেশি সময় সক্রিয় থাকতে পারে। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’’
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘‘এক কৃষক তার মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদের খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে অবগত করি। শুক্রবার তারা গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।’’
ঢাকা/মনোয়ার/রাজীব