মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধের পাস বা কার্ডের সংকট মেটাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে স্থায়ী কার্ড বা র‍্যাপিড পাসের সংকট চলছে। ফলে কেনার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও স্থায়ী কার্ড না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে একক যাত্রার পাস কিনে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের।

বর্তমানে মেট্রোরেলে তিন ধরনের কার্ড ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে স্থায়ী কার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে র‍্যাপিড ও এমআরটি (ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট) পাস।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সূত্র বলছে, বর্তমানে মেট্রোরেল প্রতিদিন চার লাখের বেশি যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে। মোট যাত্রীর প্রায় ৬০ শতাংশই র‍্যাপিড ও এমআরটি পাস ব্যবহার করেন। বাকি ৪০ শতাংশ যাত্রী ব্যবহার করেন একক যাত্রার কার্ড।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্রি করার মতো র‍্যাপিড ও এমআরটি পাস আছে খুব সামান্য। গতকাল শনিবার পর্যন্ত কয়েক দিনে দেখা গেছে, প্রতিদিনই যাত্রীদের কার্ড কিনতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।

দৈনিক এক থেকে দেড় হাজার স্থায়ী কার্ডের চাহিদা রয়েছে বলে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। এমআরটি বা র‍্যাপিড পাসে যাতায়াত করলে টিকিটের মূল্যে ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায়। এ জন্য স্থায়ী কার্ডের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া স্থায়ী কার্ডে ভ্রমণে ঝক্কিও কম।

জানা গেছে, টিকিট সরবরাহের বিষয়টি সরকারি দপ্তরের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়েছে। মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তবে তারা নিজেরা র‍্যাপিড কার্ড সংগ্রহ করতে পারে না।

শুরুতে ডিএমটিসিএল প্রকল্পের আওতায় জাপানের নিপ্পন সিগন্যাল কোম্পানি থেকে ৩ লাখ ১৩ হাজার একক যাত্রার এবং ৭ লাখ ২৮ হাজার এমআরটি পাস কেনে। গত বছর অক্টোবর পর্যন্ত সেগুলো বিক্রি হয়। এরপর তারা আর এমআরটি পাস কিনতে পারেনি।

এমআরটি পাস দিয়ে শুধু মেট্রোরেলে চলাচল করা যায়। কথা ছিল, ঢাকার সব পরিবহনের জন্য একই কার্ড করা হবে। সেটা হবে র‍্যাপিড পাস।

র‍্যাপিড পাস সংগ্রহের দায়িত্ব আবার আরেক সরকারি সংস্থা ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ)। এই সংস্থার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ডিএমটিসিএল ও ডিটিসিএ দুটিই সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন।

গতকাল দুপুরের দিকে ফার্মগেট স্টেশন থেকে স্থায়ী কার্ড কিনতে গিয়ে ব্যর্থ হন মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রবিউল আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর একটি স্থায়ী কার্ড আছে। কিন্তু স্ত্রীর জন্য আরেকটি কার্ড কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে এখন কার্ড নেই। চলতি মাসের শেষের দিকে কার্ড আসতে পারে।

রবিউল বলেন, এখন তাঁর স্ত্রী একক যাত্রার কার্ড দিয়ে যাতায়াত করছেন। কিন্তু একক যাত্রার কার্ড কিনতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়।

একটিমাত্র কার্ড ব্যবহার করে সব ধরনের গণপরিবহনে ভাড়া পরিশোধের সুবিধা চালু করতে ২০১৫ সালে প্রকল্প নেয় ডিটিসিএ। ‘র‍্যাপিড পাস’ নামে পরিচিত এ কার্ডের মাধ্যমে রেল, সড়ক ও নৌপথে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া আদায় করতে পারবে।

এ বিষয়ে ডিটিসিএর স্লোগান হলো, ‘ওয়ান কার্ড ফর অল ট্রান্সপোর্ট’ (সব পরিবহনে জন্য একই কার্ড)। তবে দেশে মেট্রোরেল ছাড়া অন্য বাহনে সেভাবে র‍্যাপিড পাস ব্যবহার হচ্ছে না।

ডিটিসিএ ঠিকাদারের মাধ্যমে র‍্যাপিড পাস সংগ্রহ করে। এরপর তা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে দেয়। ছয় মাস ধরে এভাবেই চলছে। তবে ডিটিসিএর ঠিকাদার সময়মতো কার্ড সরবরাহ করতে পারছে না বলে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও চাহিদামতো কার্ড পাচ্ছে না।

ডিটিসিএ সূত্র জানায়, গত জানুয়ারি মাসে প্রাইম পাওয়ার সলিউশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে আড়াই লাখ র‍্যাপিড পাস সরবরাহের দায়িত্ব দেয় ডিটিসিএ। তারা ইন্দোনেশিয়া থেকে কার্ড আমদানি করে ডিটিসিএকে দেয়। আগামী মাসের মধ্যে তাদের সব কার্ড সরবরাহের কথা। তবে এখন পর্যন্ত মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ১ লাখ ১৮ হাজার র‍্যাপিড পাস পেয়েছে। তাও কয়েক কিস্তিতে অল্প অল্প করে কার্ড দেওয়া হয়েছে। ফলে তিন-চার মাস ধরে চাহিদামতো র‍্যাপিড পাস পাচ্ছেন না যাত্রীরা।

ডিটিসিএর কার্ড কেনার দায়িত্বে আছেন সংস্থাটির অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোতাছিম বিল্লাহ। এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, গণমাধ্যমে কথা বলার এখতিয়ার তাঁর নেই। সংস্থার প্রধান কথা বলবেন।

ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

যোগাযোগ করা হলে সড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এহসানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, র‍্যাপিড পাস কেনার জন্য ডিটিসিএকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। কার্ডের সংকটের বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

বর্তমানে ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে মেট্রোরেল চলাচল করছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রথম মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। বাসের চেয়ে খরচ বেশি হলেও মেট্রোরেল জনপ্রিয় হয়েছে। ব্যস্ত সময়ে মেট্রোরেলে ওঠাই কঠিন হয়ে পড়ে।

টিকিট কাটতে লাইনে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকার ভোগান্তিও কম নয়।

রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা সায়েদা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর আগের কার্ডটি তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার নতুন কার্ড কিনতে গিয়ে ফেরত আসেন। তিনি বলেন, ‘জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করা হলো ভোগান্তি দূর করতে। এখন সামান্য টিকিট কাটতে ভোগান্তি হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: একক য ত র র য ত য় ত কর ক র ড ক নত ড ট স এর ব যবহ র সরবর হ পর বহন সরক র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

৭৭ মেট্রিক টন চাল তুলে নিয়েছেন ডিলার, উপকারভোগীরা জানেন ‘বরাদ্দ হয়নি’

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় গত জুলাই মাসে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) উপকারভোগীদের জন্য ৭৭ দশমিক ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রক্রিয়া অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) একজন ডিলার (পরিবেশক) তুলেও নেন। তবে ওই মাসে টিসিবির অন্য পণ্য পেলেও চাল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন উপকারভোগীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুরের ৮ ইউনিয়নে টিসিবির উপকারভোগী কার্ডধারী আছেন ১৫ হাজার ৫৬৭ জন। এসব উপকারভোগী নিজেদের কার্ড দেখিয়ে প্রতি মাসে একবার ইউনিয়নের টিসিবির নিয়োগ করা ডিলারের কাছ থেকে বাজারের চেয়ে কম মূল্যে তেল, চিনি, ডাল ও চাল কিনতে পারেন। গত জুলাইয়ে ডিলারদের কাছ থেকে তেল, চিনি ও ডালের একটি প্যাকেজ কিনতে পেরেছেন তাঁরা। ওই মাসে চালের বরাদ্দ আসেনি বলে জানানো হয় কার্ডধারীদের।

মহম্মদপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে পাওয়া নথিতে দেখা গেছে, গত ৩০ জুলাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মজনুর রহমান স্বাক্ষরিত দুইটি বিলি আদেশে (ডিও) উপজেলার হোসেনিয়া কান্তা ঋতু নামে একজন ওএমএস ডিলারের অনুকূলে ৭৭ দশমিক ৮৩৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই দিনই মহম্মদপুর ও বিনোদপুর খাদ্যগুদাম থেকে এ চাল তুলেও নেওয়া হয়।

সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যায়। বাজার থেকে ওই চাল কিনতে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা লাগে। জুলাই মাসে চাল না পাওয়ায় কিছুটা কষ্টই হইছে।শরিফা, টিসিবির কার্ডধারী, রাজাপুর ইউনিয়ন

টিসিবি ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন টিসিবি উপকারভোগীদের চাল ছাড়া অন্য পণ্য সরাসরি তাঁদের নিয়োগ করা ডিলারদের কাছে সরবরাহ করে। চালের বরাদ্দ দেওয়া হয় খাদ্য বিভাগ থেকে। এ অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে প্রথমে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ করা ওএমএস বা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের অনুকূলে ২৬ টাকা কেজি দরে চাল বরাদ্দ দেয়। সেই চাল ওই ডিলারদের কাছ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে নেন টিসিবির ডিলাররা। এরপর তাঁরা ৩০ টাকা কেজি দরে ওই চাল উপকারভোগীদের কাছে বিক্রি করেন।

উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পারুল নামে টিসিবির এক উপকারভোগী ১ সেপ্টেম্বর জানান, আগস্ট মাসে চাল, ডাল, তেল ও চিনির প্যাকেজ পেলেও জুলাই মাসে তাঁদের চাল ছাড়া অন্য তিন ধরনের পণ্যের প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। জুলাই মাসে তাঁদের জানানো হয় চাল বরাদ্দ হয়নি।

বিষয়টি জানতে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে টিসিবির নিয়োগ করা ৮ জন ডিলারের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁদের মধ্যে মহম্মদপুর সদর, নহাটা, পলাশবাড়ীয়া, বালিদিয়া, রাজাপুর ও বাবুখালী ইউনিয়নের ডিলার জানিয়েছেন, জুলাই মাসে তাঁদেরকে চাল দেওয়া হয়নি। নহাটা ও রাজাপুর ইউনিয়নের ডিলার মিলন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিলন ঘোষ ৪ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘জুলাই মাসে আমাদের বলা হইছিল চাল বরাদ্দ নেই। এ কারণে চাল ছাড়া অন্য পণ্যগুলো বিক্রি করেছি। তবে অ্যাপে দেখাইছিল চাল। কিন্তু আমরা পাইনি।’

হোসনিয়া কান্তা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার ওএমএস ডিলার। গত ২৫ জুলাই লটারির মাধ্যমে তিনিসহ তিনজন উপজেলায় ওএমএস ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান

অবশ্য বিনোদপুর ও দীঘা ইউনিয়নের দুই ডিলার দাবি করেছেন তাঁরা অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে চালও কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি করেছেন। তবে দুই ইউনিয়নের অন্তত ১০ জন উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাঁরা কেউই চাল পাননি। এর মধ্যে বিনোদপুর বাজারের একজন ফল ব্যাবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জুলাই মাসে ডিলার জানাইছিল চাল ফুরায় গেছে।’

হোসনিয়া কান্তা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার ওএমএস ডিলার। গত ২৫ জুলাই লটারির মাধ্যমে তিনিসহ তিনজন উপজেলায় ওএমএস ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান বলে খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে হোসেনিয়া কান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তাঁর মুঠোফোনে সোমবার যোগাযোগ করা হলে একজন ধরে জানান, ওই নম্বর হোসেনিয়া কান্তা ঋতু নামে কেউ ব্যবহার করেন না।

জানতে চাইলে টিসিবির ঝিনাইদহ ক্যাম্প অফিসের উপপরিচালক আকরাম হোসেন সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিসিবির চাল খাদ্য বিভাগ থেকে সরবরাহ করা হয়। আর বিতরণ কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে। যেখানে প্রতি ইউনিয়নে একজন ট্যাগ অফিসার আছেন, যিনি এগুলো তদারকি করেন।’

জেলার কয়েকজন চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৬ টাকা কেজি দরে কেনা এসব চাল বাজারে প্রায় ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। উপকারভোগীদের কাছে তা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা। এ হিসাবে উপকারভোগীদের ফাঁকি দিয়ে এ চাল বাজারে বিক্রি করতে পারলে কেজিতে ২২ থেকে ২৪ টাকা লাভ হয়।

চাল না পাওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন মহম্মদপুরের ইউএনও শাহীনুর আক্তার। সোমবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাল দেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত এমন অভিযোগ কেউ দেয়নি। খাদ্য অফিস থেকে আমি যত দূর জানতে পেরেছি তাতে সবকিছু দেওয়া হয়ে গেছে। বরাদ্দ থাকলে তা আটকে রাখার সুযোগ নেই। তারপরও কোনো অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখব।’  

হঠাৎ এক মাসে চাল না পাওয়ায় বিপাকে পড়েন উপকারভোগীরা। রাজাপুর ইউনিয়নের শরিফা নামের টিসিবি কার্ডধারী এক নারী বলেন, ‘সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যায়। বাজার থেকে ওই চাল কিনতে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা লাগে। জুলাই মাসে চাল না পাওয়ায় কিছুটা কষ্টই হইছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম চালানে ৩৭ হাজার ৪৬০ কেজি ইলিশ গেল ভারতে
  • তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনা: সাইপ্রাসকে ‘এস–৩০০’–এর চেয়েও ভয়ংকর ‘বারাক এমএক্স’ দিল ইসরায়েল
  • গুদামে খাওয়ার অনুপযোগী চাল নিয়ে রাজশাহী খাদ্য বিভাগে তোলপাড়, ৮ তদন্ত কমিটি
  • ‘কেনতো পারমু না, হেইতে ইলশার সুরতটা দেইখ্যা যাই’
  • ৭৭ মেট্রিক টন চাল তুলে নিয়েছেন ডিলার, উপকারভোগীরা জানেন ‘বরাদ্দ হয়নি’
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন
  • নিলামে ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
  • যুক্তরাজ্য থেকে আসছে মাদক এমডিএমএ, গ্রেপ্তার ৫
  • চাপে পড়ে নয়, অনুরোধে ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন: ফরিদা আখতার
  • ভোটের সরঞ্জাম আসছে ইসিতে