প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত কনসালট্যান্ট কমিটির মতে, সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করতে গেলে শিক্ষকদের আলাদা বেতনকাঠামো প্রয়োজন। এ মুহূর্তে সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদান সম্ভব নয়।

গতকাল শনিবার মাগুরা জেলা অডিটরিয়ামে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে মাগুরা জেলার স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ‘সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডের জন্য আন্দোলন’ শীর্ষক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।

আরও পড়ুনস্কুলে দীর্ঘ ছুটির ফাঁদে পড়াশোনা শিকেয় ওঠে১৯ এপ্রিল ২০২৫

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান বেতনকাঠামোয় সহকারী শিক্ষকদের যখন নিয়োগ হবে, তখন তাঁরা ১২তম গ্রেডে নিয়োগ পাবেন। চার বছর শেষে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে ১১তম গ্রেডে পদোন্নতি পাবেন। প্রধান শিক্ষকেরা পাবেন দশম গ্রেড। মন্ত্রণালয় কনসালট্যান্ট কমিটির সুপারিশ সমর্থন করে এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুনএসএসসি পরামর্শ ২০২৫: গণিতে ভালো নম্বর পাওয়ার সহজ উপায়১৮ এপ্রিল ২০২৫

শিক্ষকদের বদলি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘বদলির ক্ষেত্রে আমরা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে স্বচ্ছ বদলির চেষ্টা করছি। শহরে ছাত্রের তুলনায় শিক্ষক বেশি, গ্রামে ছাত্রের তুলনায় শিক্ষক কম। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকেরা উপজেলার ভিত্তিতে নিয়োগ পান। ফলে তাঁদের উপজেলায় থাকা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র দশম গ র ড উপদ ষ ট সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ