ওয়ালেট চালু করল ট্যাপট্যাপ সেন্ড, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
Published: 20th, April 2025 GMT
ওয়ালেট নামের নতুন সুবিধা চালু করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান ট্যাপট্যাপ সেন্ড। নতুন এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে ট্যাপট্যাপ সেন্ড অ্যাপে অর্থ পাঠানোর আগে জমা রাখে যাবে। শুধু তা–ই নয়, ব্যবহারকারীরা চাইলে নিজেদের জমা করা অর্থ অন্য দেশে পাঠানোর আগে সেরা এক্সচেঞ্জ রেটে কনভার্ট করে রাখতে পারবেন। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ট্যাপট্যাপ সেন্ড।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওয়ালেট–সুবিধা চালুর ফলে প্রবাসীরা ট্যাপট্যাপ সেন্ড অ্যাপের মাধ্যমে সেরা এক্সচেঞ্জ রেটে অর্থ কনভার্ট করে প্রিয়জনদের পাঠাতে পারবেন। শুধু তা–ই নয়, এ সুবিধার মাধ্যমে আগে থেকেই অর্থ পাঠানোর সময় নির্ধারণ করে রাখা যাবে। এর ফলে আর্থিক লেনদেনের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়বে।
ট্যাপট্যাপ সেন্ড ওয়ালেট ব্যবহারের জন্য প্রথমে ওয়ালেটে অর্থ জমা করতে হবে। এরপর যেকোনো সময় নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ পাঠাতে হবে। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ট্যাপট্যাপ সেন্ড ওয়ালেট–সুবিধা ব্যবহার করা যাবে।
প্রসঙ্গত, দ্রুত ও স্বচ্ছন্দে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠানোর সুযোগ থাকায় এরই মধ্যে প্রবাসীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ট্যাপট্যাপ সেন্ড। নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে প্রবাসীরা আগের তুলনায় আরও বেশি উপকৃত হবেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’