Prothomalo:
2025-09-18@02:35:59 GMT

শমিতকে নিয়ে নতুন সুখবর

Published: 20th, April 2025 GMT

দিন দশেক আগে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার কথা জানিয়েছিলেন শমিত সোম। এরপরই তাঁর জন্মনিবন্ধন তৈরির কাজ শুরু করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সেই জন্মনিবন্ধন হাতে পেয়েছেন শমিত। বাফুফে সূত্রে আজ এমনটাই জানা গেল।

জন্মনিবন্ধন পাওয়ার পর এখন শমিতের পরবর্তী কাজ পাসপোর্ট করা। এর মধ্যে তাঁর মা-বাবার কাগজপত্র হালনাগাদের কাজও শেষ। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কানাডিয়ান সকার অ্যাসোসিয়েশনের অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করতে হবে বাফুফেকে।

সেই অনাপত্তিপত্র, পাসপোর্টসহ আরও কিছু কাগজপত্র নিয়ে ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে। ফিফার বিশেষ কমিটি সব পর্যালোচনা করে সবুজসংকেত দিলে তবেই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন শমিত।

২৭ বছর বয়সী শমিতের জন্ম কানাডায়। মা-বাবা দুজনই বাংলাদেশি। বাবার বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজার, মায়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ফলে তাঁর বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যেমন সমস্যা হয়নি হামজা চৌধুরীর ক্ষেত্রেও।

তবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ফিফার অনুমতি পেতে প্রায় চার মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল হামজাকে। সে হিসাবে শমিতকে সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে পাওয়ার কথা নয়। যদিও বাফুফে আশা ছাড়ছে না। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুন। সেই ম্যাচের আগেই শমিতের পাসপোর্ট ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চায় তারা।

এ বিষয়ে আজ বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এইমাত্র আমরা খবরটা পেয়েছি। শমিতের জন্মনিবন্ধন হয়ে গেছে। শিগগিরই তিনি পাসপোর্টের জন্য দূতাবাসে আবেদন করবেন। চেষ্টা থাকবে ১০ জুনের আগেই সব কাজ শেষ করা।’

গত ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর। এর পর থেকে প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ বেড়েছে কয়েক গুণ।

যদিও প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হিসেবে বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক হয় ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া জামালের। এরপর জাতীয় দলে নাম লেখান ফিনল্যান্ডে বেড়ে ওঠা তারিক কাজী।

সর্বশেষ এখন আলোচনায় মিডফিল্ডার শমিত। কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ক্যাভালরি এফসিতে খেলেছেন তিনি। দলটির হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭টি ম্যাচ খেলছেন। ২০১৬ সালে কানাডার অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে সাতটি এবং ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলেন চারটি ম্যাচ। ২০২০ সালে কানাডার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন দুটি ম্যাচ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

আরো পড়ুন:

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়

এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।

তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।

পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।

এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।

আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।

এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ