Prothomalo:
2025-07-31@19:36:11 GMT

শমিতকে নিয়ে নতুন সুখবর

Published: 20th, April 2025 GMT

দিন দশেক আগে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার কথা জানিয়েছিলেন শমিত সোম। এরপরই তাঁর জন্মনিবন্ধন তৈরির কাজ শুরু করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সেই জন্মনিবন্ধন হাতে পেয়েছেন শমিত। বাফুফে সূত্রে আজ এমনটাই জানা গেল।

জন্মনিবন্ধন পাওয়ার পর এখন শমিতের পরবর্তী কাজ পাসপোর্ট করা। এর মধ্যে তাঁর মা-বাবার কাগজপত্র হালনাগাদের কাজও শেষ। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কানাডিয়ান সকার অ্যাসোসিয়েশনের অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করতে হবে বাফুফেকে।

সেই অনাপত্তিপত্র, পাসপোর্টসহ আরও কিছু কাগজপত্র নিয়ে ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে। ফিফার বিশেষ কমিটি সব পর্যালোচনা করে সবুজসংকেত দিলে তবেই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন শমিত।

২৭ বছর বয়সী শমিতের জন্ম কানাডায়। মা-বাবা দুজনই বাংলাদেশি। বাবার বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজার, মায়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ফলে তাঁর বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যেমন সমস্যা হয়নি হামজা চৌধুরীর ক্ষেত্রেও।

তবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ফিফার অনুমতি পেতে প্রায় চার মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল হামজাকে। সে হিসাবে শমিতকে সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে পাওয়ার কথা নয়। যদিও বাফুফে আশা ছাড়ছে না। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুন। সেই ম্যাচের আগেই শমিতের পাসপোর্ট ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চায় তারা।

এ বিষয়ে আজ বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এইমাত্র আমরা খবরটা পেয়েছি। শমিতের জন্মনিবন্ধন হয়ে গেছে। শিগগিরই তিনি পাসপোর্টের জন্য দূতাবাসে আবেদন করবেন। চেষ্টা থাকবে ১০ জুনের আগেই সব কাজ শেষ করা।’

গত ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর। এর পর থেকে প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ বেড়েছে কয়েক গুণ।

যদিও প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হিসেবে বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক হয় ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া জামালের। এরপর জাতীয় দলে নাম লেখান ফিনল্যান্ডে বেড়ে ওঠা তারিক কাজী।

সর্বশেষ এখন আলোচনায় মিডফিল্ডার শমিত। কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ক্যাভালরি এফসিতে খেলেছেন তিনি। দলটির হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭টি ম্যাচ খেলছেন। ২০১৬ সালে কানাডার অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে সাতটি এবং ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলেন চারটি ম্যাচ। ২০২০ সালে কানাডার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন দুটি ম্যাচ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জমিজমার বিরোধে থানায় সালিসে গিয়ে ‘রাজনৈতিক মামলায়’ গ্রেপ্তার যুবক

জমিজমা–সংক্রান্ত বিরোধে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় সালিসে আসা এক যুবককে ‘রাজনৈতিক মামলায়’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই যুবকের মা আনারা বেগম এ কথা জানান।

গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম আল-আমিন (৩২)। তাঁর বাড়ি নগরের বলাশপুর এলাকায়। মায়ের দাবি, আল-আমিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। সালিসে জমিজমার কাগজ ঠিক থাকায় সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে রাজি না হলে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

তবে পুলিশ বলছে, ওই যুবক যুবলীগের সমর্থক। তাঁকে গ্রেপ্তারে কয়েকবার বাড়িতে অভিযানও চালিয়েছে পুলিশ। থানায় তাঁকে পেয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে তাঁকে নগরের কেওয়াটখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আল-আমিনের মা আনারা বেগম বলেন, ২০২১ সালে বলাশপুর এলাকায় স্বামীর পেনশনের ১৭ লাখ টাকায় ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ জমি কেনেন তাঁরা। এর আগে ২০০৮ সালে একই দাগে ৪ শতাংশ জমি কেনার দাবি করে ২০২২ সালে জোরপূর্বক সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেন এক ব্যক্তি। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ৫ আগস্টের পর সরকার পরিবর্তন হলে নিজের কেনা জমিতে বাড়ি করার উদ্যোগ নিলে বাধা হয়ে দাঁড়ান ওই ব্যক্তি ও তাঁর পক্ষের লোকজন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় উভয় পক্ষকে ডাকা হয়। গত শনিবার রাত আটটায় থানায় সালিস শুরু হয়। চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। সালিসে শেষ পর্যায়ে যখন জমির কাগজপত্র তাঁদের ঠিক পান সালিসকারীরা, তখন ওসি আল-আমিনকে তাঁর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হাড়গোড় ভেঙে ফেলার হুমকি দেন। পেছনে পেছনে তিনি গিয়ে প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করা হয়। এরপর আল-আমিনকে গারদে ঢুকিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় সাজানো রাজনৈতিক মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আনারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো রাজনীতি করে না। আমার ছেলে ব্যবসা করে। তাকে রাজনৈতিক মামলায় পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছে।’

২৭ জুলাই আল-আমিনকে আদালতে পাঠানোর প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১টা ৩৫ মিনিটে পুলিশের টহল দল নগরের আকুয়া ভাঙ্গাপুল এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে সদরের উত্তর দাপুনিয়ার সরকারি পুকুরপাড় সেলফি নামের স্থানে পাকা রাস্তার ওপর একদল সন্ত্রাসী জনতাবদ্ধ হয়ে রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি ভাঙচুর ও দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫টি মশাল, ২০টি লাঠি, ৩০টি ইটের টুকরা, ২৫টি কাচের টুকরা জব্দ করা হয়। এ ঘটনার পরদিন পুলিশ কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আল-আমিনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ২৬ জুলাই রাত ১১টা ৪০ মিনিটে নগরের কেওয়াটখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রতিবেদনে পুলিশ আল-আমিনকে যুবলীগের সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করে।

থানার ওই সালিসে থাকা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো. বাবু বলেন, থানা চত্বরের একটি ঘরে এসআই সজীব কোচের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের কাগজপত্র বোঝেন, এমন লোকজন নিয়ে সালিস শুরু হয়। একপর্যায়ে আল-আমিনকে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যায়িত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তাঁকে থানা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।

জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘১০ দিন আগে থেকে দারোগারা তাঁকে (আল-আমিন) ধরার জন্য খুঁজতেছে। ডেভিল হান্টের আসামি সে। আমাদের দুই দারোগা ছয় থেকে সাতবার তাঁর বাড়িতে রেড দিছে। সে যুবলীগের ফ্যাসিস্ট। মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তদন্তে প্রাপ্ত আসামি।’ ওসি বলেন, কোনো কাগজপত্র দিয়ে নোটিশ করে তাঁকে থানায় ডাকা হয়নি। বিচারক যদি মনে করে আমরা তাঁকে ইলিগ্যাল অ্যারেস্ট করেছি, তাহলে আদালত ফাইন্ডিংস দেবেন। আসামিকে থানা থেকে গ্রেপ্তার করা কী নিষেধ আছে?’ আদালতের প্রতিবেদনে ভিন্ন স্থান দেখানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জজ এটার বিচার করবে। যদি এমন কইরা থাকে, সমস্যা কী?’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জমিজমার বিরোধে থানায় সালিসে গিয়ে ‘রাজনৈতিক মামলায়’ গ্রেপ্তার যুবক
  • মৎস্য অধিদপ্তরের দশম গ্রেডের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ