ঢাকার সাভারের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের ৬ রাউন্ড গুলি, একটি চাপাতি ও চাকুসহ এক যুবককে (২০) গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। 

রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সাভার মডেল থানা থেকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতে সাভারের রাজাশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তা করে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃত যুবক সাভারের উত্তর রাজাশন এলাকার মো.

মিজানুর রহমানের ছেলে মো. ইমাম হোসেন ইফতি (২০)। তার ঘরের ওয়ারড্রবের একটি ড্রয়ার থেকে ৪ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ১ রাউন্ড ৯ এমএম পিস্তলের গুলি ও ১ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলিসহ মোট ৬ রাউন্ড গুলি ও দুটি গুলির খোসা, একটি চাপাতি ও একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইমাম হোসেন ইফতির বাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে তার দেখানো স্থান থেকে গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির বলেন, “ইমাম হোসেন ইফতির কাছে যে গুলি পাওয়া গেছে সেগুলো সাধারণত বড় বড় ক্রিমিনালরা (অপরাধী) ব্যবহার করে। সেগুলো তার কাছে কোথা থেকে এলো তা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

উদ্ধারকৃত গুলিগুলো পুলিশের লুট হওয়া গুলি কিনা জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।”

ঢাকা/আরিফ/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের

নাটোরে ছুরিকাঘাতে খোরশেদ আলম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সদর উপজেলার তেগাছি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত খোরশেদ ওই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে ও পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। অভিযুক্ত সালমান (১৭) একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সালমানের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ আনেন খোরশেদ আলম। এ ঘটনায় সালমান ক্ষিপ্ত হয়ে খোরশেদকে কুপিয়ে জখম করে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

পুলিশ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান আত্মগোপনে

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুর রহমান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত সালমানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে মামলাসহ পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/আরিফুল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ