যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়
Published: 20th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চলমান গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর পেশাজীবী থানা শাখার উদ্যোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রেস ক্লাব যশোরের দ্বিতীয় তলার হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের যশোর পেশাজীবী থানা শাখার আমীর খন্দকার রশিদুজ্জামান রতন। ১১ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ ও দাওয়াতি পক্ষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরেও এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা শাখার আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস এবং পেশাজীবী থানা, যশোর শাখার সেক্রেটারি আবু ফয়সাল ও প্রচার সম্পাদক সাহাবুদ্দিন আহমেদ।
আরো পড়ুন:
বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ শিবিরের বিরুদ্ধে
বিএনপির সঙ্গে বিরোধ নিয়ে জামায়াত আমির
রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকুক, যেন মতবিরোধে রূপ না নেয়
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক এবং প্রাচ্যসংঘ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা বেনজীন খান, প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুল রহমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান এবং প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সহ-সভাপতি নুর ইসলাম।
সভায় বক্তারা চলমান কর্মসূচির গুরুত্ব, উদ্দেশ্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা সাংবাদিক সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/রিটন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।
‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।
এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।