মাহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাই সুপার কিংসকে হারানো যেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে বহু কাঙ্ক্ষিত এক লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। টানা কয়েক বছর ধরে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে জয় বঞ্চিত থাকার পর অবশেষে রোববারের (২০ এপ্রিল) ম্যাচে সেই জয়ের স্বাদ পেল মুম্বাই। এদিন ৯ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় রোহিত শর্মার দল।

এই জয়ে মূল নায়ক ছিলেন মুম্বাইর দুই ব্যাটসম্যান— রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদব। রোহিত ৪৫ বলে ৪টি চার ও ৬ ছক্কায় ঝড়ো ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন। আর সূর্যকুমার ৩০ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় করেন ৬৮ রান। তাতে চেন্নাইর ছুড়ে দেওয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্য মুম্বাই ছুঁয়ে ফেলে মাত্র ১৫.

৪ ওভারেই।

তার আগে চেন্নাই ইনিংসের শুরুটা ছিল কিছুটা ধীরগতির। তবে মিডল অর্ডারে শিভম দুবে ও রবীন্দ্র জাদেজা ফিফটি তুলে নেন। জাদেজা ৩৫ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৫৩ ও দুবে ৩২ বলে ২টি চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৫০ রান। এছাড়া অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন তরুণ ব্যাটার আয়ুষ। মাত্র ১৫ বলে ৩২ রানের ইনিংসে চারটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে তাক লাগিয়ে দেন।

মুম্বাইয়ের বোলিং শুরু থেকেই ছিল নিয়ন্ত্রিত। ১৩ ওভার শেষে চেন্নাইয়ের রান ছিল ৩ উইকেটে ৯২। তখন আক্রমণাত্মক রূপ নেন দুবে। হার্দিক পান্ডিয়াকে মারেন বিশাল ছক্কা, পরে বোল্টের এক ওভারে মারেন চার ও ছয়। ১৬তম ওভারে আশ্বিনী কুমারকে এক ওভারেই তিনটি ছক্কা ও একটি চারে কাঁপিয়ে দেন জাদেজা ও দুবে। এই জুটিতে আসে ৭৯ রান। ইনিংস শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই তোলে ১৭৬ রান।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমেই তাণ্ডব শুরু করে মুম্বাই। ওপেনিং জুটিতে মাত্র ৬.৪ ওভারে আসে ৬৩ রান। রায়ান রিকেলটন আউট হয়ে ফিরলে মাঠে নামেন সূর্যকুমার। এরপর শুরু হয় রোহিত-সূর্যের রানের বন্যা। তারা দ্বিতীয় উইকেটে ৫৪ বলে গড়েন ১১৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি, যা চেন্নাইয়ের বিপক্ষে সহজ জয় এনে দেয়।

এই নিয়ে টানা তিনটি ম্যাচে জয় পেল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। পয়েন্ট টেবিলেও উন্নতি হয়েছে তাদের। আট ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন রয়েছে ছয় নম্বরে। অন্যদিকে, চেন্নাই সুপার কিংসের অবস্থা বেশ কঠিন। আট ম্যাচে মাত্র দুই জয়, ছয় হার। মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে দশম স্থানে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

শুভ জন্মাষ্টমী আজ

অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ—এই বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথি শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদ্‌যাপন করা হয়।

সনাতন ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। আজ শনিবার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আজ সকাল আটটায় দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞ, বেলা তিনটায় ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, রাজধানীর পলাশীর মোড়ে আজ বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ