বয়স তার ১৪ বছর, বেড়ে ওঠার বয়স, যা ইচ্ছা খাওয়ার বয়স। কিন্তু এই বয়সেই পছন্দের খাবারের লোভ সামলাতে হচ্ছে বৈভব সূর্যবংশীর। আইপিএল অভিষেকে প্রথম বলে ছক্কা মেরে হইচই ফেলে দেওয়া এই কিশোরের কোচ জানিয়েছেন, ক্রিকেটের জন্য খাবারদাবারে ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে সূর্যবংশীকে।

এই যেমন পিৎজা পছন্দ হলেও খাওয়া মানা। খেতে পারে না মাটনও। আইপিএলে সফল হওয়ার জন্য এসব খাবারের লোভ সামলেই প্রস্তুতি নিয়েছে বিহারের এই ব্যাটসম্যান।

পরশু জয়পুরের মানসিং স্টেডিয়ামে লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে রাজস্থান রয়্যালসে সূর্যবংশীর আইপিএল অভিষেক হয়েছে। প্রথম বলেই শার্দূল ঠাকুরকে কাভারের ওপর দিয়ে ছয় মেরে নাম লিখিয়েছে একাধিক রেকর্ডেও। ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস ২ রানে হারলেও সূর্যবংশীর ২০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস ক্রিকেট বিশ্লেষক, দর্শক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ প্রশংসা পাচ্ছে।

ম্যাচের পর সূর্যবংশীর সঙ্গে কথা বলেন লক্ষ্ণৌর মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ