বয়স তার ১৪ বছর, বেড়ে ওঠার বয়স, যা ইচ্ছা খাওয়ার বয়স। কিন্তু এই বয়সেই পছন্দের খাবারের লোভ সামলাতে হচ্ছে বৈভব সূর্যবংশীর। আইপিএল অভিষেকে প্রথম বলে ছক্কা মেরে হইচই ফেলে দেওয়া এই কিশোরের কোচ জানিয়েছেন, ক্রিকেটের জন্য খাবারদাবারে ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে সূর্যবংশীকে।

এই যেমন পিৎজা পছন্দ হলেও খাওয়া মানা। খেতে পারে না মাটনও। আইপিএলে সফল হওয়ার জন্য এসব খাবারের লোভ সামলেই প্রস্তুতি নিয়েছে বিহারের এই ব্যাটসম্যান।

পরশু জয়পুরের মানসিং স্টেডিয়ামে লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে রাজস্থান রয়্যালসে সূর্যবংশীর আইপিএল অভিষেক হয়েছে। প্রথম বলেই শার্দূল ঠাকুরকে কাভারের ওপর দিয়ে ছয় মেরে নাম লিখিয়েছে একাধিক রেকর্ডেও। ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস ২ রানে হারলেও সূর্যবংশীর ২০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস ক্রিকেট বিশ্লেষক, দর্শক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ প্রশংসা পাচ্ছে।

ম্যাচের পর সূর্যবংশীর সঙ্গে কথা বলেন লক্ষ্ণৌর মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ