‘জামিল এসে বলল, আপা চলেন প্রেম করি’
Published: 21st, April 2025 GMT
ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন একসঙ্গে অভিনয়ের সুবাদে পরিচিত। সেই পরিচয় বন্ধুত্ব ও প্রেমে গড়ায়। কয়েক দিন আগে বিয়ে করেছেন তারা।
বিয়ের পর বেশ ফুরফুরে মেজাজেই সময় কাটাচ্ছেন এই নবদম্পতি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুনমুন জানিয়েছেন তাদের প্রেমের শুরুটা কতটা মজার ও আকর্ষণীয় ছিল। তিনি বলেন, “আমরা একে অপরকে আপনি করে বলতাম। হঠাৎ একদিন জামিল এসে বলল, ‘আপা চলেন প্রেম করি।’ প্রথমে একটু অবাক হলেও পরে নিজেই রাজি হয়ে যাই।”
জামিলের প্রতি ভালো লাগার শুরু ‘মীরাক্কেল’ থেকে। সেই সময় থেকেই মুনমুনের চোখে জামিল একজন ভীষণ জেন্টেলম্যান, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েও তা আরো পরিষ্কারভাবে টের পান।
আরো পড়ুন:
ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন সিজন, উচ্ছ্বসিত ভক্তরা
ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন মাহি
ঢাকায় বেড়ে ওঠা মুনমুন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন। ২০১৭ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানকার মাহশা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার পাশাপাশি মডেলিং ও অভিনয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এরই মধ্যে ১৫টিরও বেশি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। নাটক-বিজ্ঞাপন ছাড়াও ‘কাগজ’ নামে একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন।
অন্যদিকে, জামিল হোসেন ‘মীরাক্কেল’-এর মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। বর্তমানে নাটক, বিজ্ঞাপন ও ওয়েব সিরিজে নিয়মিত কাজ করছেন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।