এসএসসির চতুর্থ পরীক্ষার দিনে বহিষ্কার ৭৮
Published: 21st, April 2025 GMT
মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার চতুর্থ দিনে ৭৫ পরীক্ষার্থী এবং তিনজন কক্ষ পরিদর্শকসহ মোট ৭৮ জন বহিষ্কার হয়েছেন; আর অনুপস্থিত ছিল ২৮ হাজার ১২০ পরীক্ষার্থী।
এসএসসি ও সমমানের চতুর্থ দিনের পরীক্ষা শেষে সোমবার (২১ এপ্রিল) এই তথ্য দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
এদিন এসএসসিতে গণিত ও দাখিলে বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা হয়। এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে কোনো পরীক্ষা ছিল না।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে চতুর্থ দিনে ২৮ হাজার ১২০ জন পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতি এবং ৭৮ জনের বহিষ্কৃত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সোমবারের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৬২ হাজার ১৪৩ পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নেন ১৬ লাখ ৩৪ হাজার ২৩ জন। বাকি ২৮ হাজার ১২০ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
পরীক্ষার ৩ হাজার ১৪টি কেন্দ্রের মধ্যে বিদেশের ৯টি কেন্দ্র ছাড়া ৩ হাজার ৭টি কেন্দ্রের তথ্য দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
গণিত পরীক্ষায় বহিষ্কার অর্ধশত
৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে এসএসসির গণিত পরীক্ষায় ৪৭ পরীক্ষার্থী এবং তিনজন পরিদর্শক বহিষ্কৃত হয়েছেন।
বিদেশের ৯টি কেন্দ্র ছাড়া ২ হাজার ২৮২টি কেন্দ্রের তথ্য তুলে ধরে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বলেছে, ঢাকা বোর্ডে সাতজন, রাজশাহী বোর্ডে দুজন, কুমিল্লা বোর্ডের ১২ জন, যশোর বোর্ডের চারজন, বরিশাল বোর্ডের চারজন, দিনাজপুর বোর্ডের পাঁচজন ও ময়মনসিংহ বোর্ডের ১১ পরীক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছে।
ময়মনসিংহ বোর্ডে দুজন পরিদর্শক এবং সিলেট বোর্ডে একজন পরিদর্শককে বহিষ্কার করা হয়েছে সোমবার।
১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৪ পরীক্ষার্থীর এই বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল, যেখানে অংশ নেয় ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৬১ জন; আর অনুপস্থিত ছিল ১৫ হাজার ৮১৩ জন।
ঢাকা বোর্ডের ৪৩৮টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৭৬৬ জন, রাজশাহী বোর্ডের ২৬৯টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৭ জন, কুমিল্লা বোর্ডের ২৭৩টি কেন্দ্রে ২ হাজার ১০১ জন, যশোর বোর্ডের ২৯৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৯৭৩ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডের ২১৯ টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৮৪ জন, সিলেট বোর্ডের ১৫৪টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭ জন, বরিশাল বোর্ডের ১৯৪টি কেন্দ্রে ১ হাজার ২৭৪ জন, দিনাজপুর বোর্ডের ২৮০টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭০৭ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের ১৫৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১৭১ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
দাখিলের বাংলা পরীক্ষায় বহিষ্কার ২৮
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলের বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় ২৮ জন পরীক্ষার্থীর বহিষ্কৃত হওয়ার তথ্য দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
কমিটির তথ্য বলছে, ৭২৫টি কেন্দ্রে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৭০৩ পরীক্ষার্থীর এদিন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নেয় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৩ জন। ১০ হাজার ৬৩০ জন অনুপস্থিত ছিল।
আরো পড়ুন:
কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ৬ দাবি
জবি শিক্ষার্থীদের কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র থ র ন পর ক ষ পর ক ষ য় র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুর সীমান্তে গভীর রাতে আলো নিভিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
দিনাজপুরে বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ শিশুসহ ১৫ জন জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের অচিন্তপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
বিজিবির ফুলবাড়ী ২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ বি এম জাহিদুল করিম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাহিদুল করিম জানান, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে অচিন্তপুর সীমান্তের ২৮৫ নম্বর সীমানা পিলার এলাকায় হঠাৎ আলো নিভিয়ে দেয় বিএসএফ। এ সময় সেখানে বিজিবি সদস্যরা নিয়মিত টহলে ছিলেন। একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা ১৫ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেন। পরে বিজিবি ২৯ ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়নের আওতায় অচিন্তপুর বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের আটক করে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। আটক ১৫ জনের মধ্যে ৩ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ, বাকিরা শিশু। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা সবাই নড়াইলের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ভারত থেকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর কয়েকজনের কাছ থেকে ব্যবহৃত মুঠোফোন ও নগদ অর্থ কেড়ে নেন বিএসএফ সদস্যরা।
বিজিবি জানায়, ওই ১৫ জন বর্তমানে অচিন্তপুর বিওপি ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। তাঁদের বিষয়ে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সিলেট, সুনামগঞ্জ, লালমনিরহাট ও ময়মনসিংহের সীমান্ত দিয়ে ৮৬ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সিলেটের জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের ছাতক, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়। তাঁদের আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। বিজিবির সদর দপ্তর সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ২১০ জনকে পুশ–ইন করেছে ভারত।