সামান্য বৃষ্টি হলেই মহাসড়কে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ
Published: 21st, April 2025 GMT
সামান্য বৃষ্টি হলেই মৌলভীবাজার সদরের শেরপুর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনে অব্যবস্থাপনার কারণে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শেরপুর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের পশ্চিম পাশে মহাসড়কের একটি অংশজুড়ে পানি জমে রয়েছে। পানির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ২-৩টি মিনিবাস। জমে থাকা পানিতে ভাসছে ময়লা-আবর্জনা। দুর্গন্ধময় ও কর্দমাক্ত পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।
শেরপুর বাজারের সৈয়দ সিদ্দেক আলী মার্কেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ লিয়াকত আলী জানান, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই মহাসড়কে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। জলাবদ্ধতার কারণে আশপাশের মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে।
শেরপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমদাদ মো.
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার হামিদ সমকালকে বলেন, সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। শেরপুর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরসহ সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক সংশ্লিষ্টদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখন দেখভালের দায়িত্ব সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক সিক্স লেন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক সিক্স লেন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (শেরপুর টোল প্লাজা-বাহুবল পর্যন্ত) প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন সমকালকে বলেন, বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকরা ময়লা-আবর্জনা ফেলে ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে বারবার অকার্যকর করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। পানি নিষ্কাশনে পথ সচল রাখার জন্য পয়োপ্রণালি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে জনসচেতনতা জরুরি। মহাসড়কের যাতে ক্ষতি না হয় এবং যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পতিত না হয়, সে লক্ষ্যে পানি নিষ্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’