সোনার দামে রেকর্ডের পরে রেকর্ড, এবার ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা
Published: 21st, April 2025 GMT
দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবার সোনার দাম বাড়ল। এ দফায় ভরিপ্রতি ৪ হাজার ৭১৩ টাকা দাম বেড়েছে। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা। দেশের বাজারে এটিই এখন পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর কথা জানায়। বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে আবার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন দাম আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে গত শনিবার রাতে সোনার দাম ভরিপ্রতি ২ হাজার ৬২৪ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। তখন প্রতি ভরি সোনার দাম দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৩ টাকা। আজ পর্যন্ত দেশের বাজারে এটিই ছিল সোনার সর্বোচ্চ দাম।
বাজুসের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আগামীকাল থেকে দেশের বাজারে হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াবে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা।
এদিকে আজ পর্যন্ত প্রতি ভরি হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৩ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬০ হাজার ২০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩০৯ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আগামীকাল থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনায় ৪ হাজার ৭১৩ টাকা, ২১ ক্যারেটে ৪ হাজার ৪৯১ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ৩ হাজার ৮৬০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় ৩ হাজার ২৮৯ টাকা দাম বাড়বে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, সোনা ও রুপার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও সমিতির নির্ধারিত ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যুক্ত করতে হবে। গয়নার নকশা ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’