Samakal:
2025-05-01@05:44:15 GMT

চৌর্যশিল্পের প্রতিযোগিতা

Published: 21st, April 2025 GMT

চৌর্যশিল্পের প্রতিযোগিতা

হাসতে হাসতে দম আটকে যাওয়ার উপক্রম হলো। যদিও হাসির কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে মনে হচ্ছে। বলে কী– এটি আমি কী শুনলাম?
‘এক চোর নাকি আরেক চোরের টাকার গল্প শুনে অজ্ঞান হয়ে গেল!’ খোলাসা করে বলেই ফেলি। আমাদের দূরসম্পর্কের এক আত্মীয় চুরিচামারি করে নাকি কোটিপতি বনে যান। এক কথায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। তিনি খুবই সেয়ানা। অনেকবার ধরা পড়তে পড়তেও বেঁচে গেছেন বিনা সাজায়। না তিনি রাতের আঁধারের চোর ছিলেন না। বরং দেশের প্রথম সারির ধনাঢ্য চোর। তারা নিজেদের শিল্পী দাবি করেন কিন্তু তাদের শিল্প সম্পর্কে অনেকেরই অজানা ছিল।
কিছুদিন পর দেখি পরিচিত আরেকজন আচমকা আঙুল ফুলে কলাগাছ নয়, একেবারে বটগাছ হয়ে গেছেন। আমাদের দেশে মোটামুটি সরিষার তেল গায়ে মাখা চোরের থেকে এই তেল না মাখা চোরের সংখ্যা বেশি। এরা পারেও বটে। কখন যে কী করে বসে কেউ বলতে পারে না। তাদের ঘিরে শত নানা গল্প তৈরি হয়। মাঝেমধ্যে এ ধনাঢ্য চোরদের নিয়ে দেশে প্রচুর প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। 
এ ‘কলাগাছ’ আর ‘বটগাছ’ দু’জন কিন্তু পূর্বপরিচিত। তারা একজন আরেকজনের নিকটাত্মীয়ও বটে। এ সময় এ দু’জনের মধ্যে টাকা অপচয়ের প্রতিযোগিতা শুরু হয় চৌর্যবৃত্তির দ্বারা উপার্জিত টাকা খরচের প্রতিযোগিতা। এদিক থেকে শুরুতে দ্বিতীয়জন এগিয়ে ছিলেন। দ্বিতীয়জনের খরচ করার দৃশ্য দেখে মানুষের চক্ষু ছানাবড়া। একদিন ঘটে গেল এক আজব ঘটনা! এ দুই ধনাঢ্য চোর কোনো এক কারণে নিজেদের মধ্যে গোপনে মিটিং করছিলেন। মিটিং চলার কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া গেল প্রথম ধনাঢ্য চোর অজ্ঞান এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 
অন্যরা সবাই দ্বিতীয় ধনাঢ্য চোরের কাছে প্রথম ধনাঢ্য চোরের অজ্ঞান হওয়ার কারণ জানতে চাইল। তিনি উত্তরে বলেন, আমি তো তেমন কিছু করিনি সে আমার শিল্প সম্পর্কে জানতে চাইছে আর আমার কাছে এখন কী পরিমাণ টাকা আছে, শুধু তা বলেছিলাম মাত্র। তাতেই এ অবস্থা। তার চেয়ে আমি যে কত বড় শিল্পী, তা এখন সে বুঝতে পেরেছে। 
সভাপতি সুহৃদ সমাবেশ, ফেনী

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ