Samakal:
2025-11-03@23:31:13 GMT

চৌর্যশিল্পের প্রতিযোগিতা

Published: 21st, April 2025 GMT

চৌর্যশিল্পের প্রতিযোগিতা

হাসতে হাসতে দম আটকে যাওয়ার উপক্রম হলো। যদিও হাসির কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে মনে হচ্ছে। বলে কী– এটি আমি কী শুনলাম?
‘এক চোর নাকি আরেক চোরের টাকার গল্প শুনে অজ্ঞান হয়ে গেল!’ খোলাসা করে বলেই ফেলি। আমাদের দূরসম্পর্কের এক আত্মীয় চুরিচামারি করে নাকি কোটিপতি বনে যান। এক কথায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। তিনি খুবই সেয়ানা। অনেকবার ধরা পড়তে পড়তেও বেঁচে গেছেন বিনা সাজায়। না তিনি রাতের আঁধারের চোর ছিলেন না। বরং দেশের প্রথম সারির ধনাঢ্য চোর। তারা নিজেদের শিল্পী দাবি করেন কিন্তু তাদের শিল্প সম্পর্কে অনেকেরই অজানা ছিল।
কিছুদিন পর দেখি পরিচিত আরেকজন আচমকা আঙুল ফুলে কলাগাছ নয়, একেবারে বটগাছ হয়ে গেছেন। আমাদের দেশে মোটামুটি সরিষার তেল গায়ে মাখা চোরের থেকে এই তেল না মাখা চোরের সংখ্যা বেশি। এরা পারেও বটে। কখন যে কী করে বসে কেউ বলতে পারে না। তাদের ঘিরে শত নানা গল্প তৈরি হয়। মাঝেমধ্যে এ ধনাঢ্য চোরদের নিয়ে দেশে প্রচুর প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। 
এ ‘কলাগাছ’ আর ‘বটগাছ’ দু’জন কিন্তু পূর্বপরিচিত। তারা একজন আরেকজনের নিকটাত্মীয়ও বটে। এ সময় এ দু’জনের মধ্যে টাকা অপচয়ের প্রতিযোগিতা শুরু হয় চৌর্যবৃত্তির দ্বারা উপার্জিত টাকা খরচের প্রতিযোগিতা। এদিক থেকে শুরুতে দ্বিতীয়জন এগিয়ে ছিলেন। দ্বিতীয়জনের খরচ করার দৃশ্য দেখে মানুষের চক্ষু ছানাবড়া। একদিন ঘটে গেল এক আজব ঘটনা! এ দুই ধনাঢ্য চোর কোনো এক কারণে নিজেদের মধ্যে গোপনে মিটিং করছিলেন। মিটিং চলার কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া গেল প্রথম ধনাঢ্য চোর অজ্ঞান এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 
অন্যরা সবাই দ্বিতীয় ধনাঢ্য চোরের কাছে প্রথম ধনাঢ্য চোরের অজ্ঞান হওয়ার কারণ জানতে চাইল। তিনি উত্তরে বলেন, আমি তো তেমন কিছু করিনি সে আমার শিল্প সম্পর্কে জানতে চাইছে আর আমার কাছে এখন কী পরিমাণ টাকা আছে, শুধু তা বলেছিলাম মাত্র। তাতেই এ অবস্থা। তার চেয়ে আমি যে কত বড় শিল্পী, তা এখন সে বুঝতে পেরেছে। 
সভাপতি সুহৃদ সমাবেশ, ফেনী

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ