অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার নেশাটা জেঁকে বসেছে মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর। বোলিংটা মোটামুটি সহজাত হওয়ায় ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছেন বেশি। এই একটি জায়গায় সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বেশ মিল তাঁর। বাঁহাতি এ স্পিন অলরাউন্ডারও নেটে ব্যাটিংটাকে বেশি গুরুত্ব দিতেন। যদিও অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে সাকিবের সঙ্গে মিরাজের পার্থক্য বেশ। সাকিব ছিলেন সব্যসাচী। দুই বিভাগেই সমান পারদর্শী। মিরাজও নিজেকে সে জায়গায় নিয়ে যেতে লড়াই করছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ম্যাচের নায়ক হতে চান। গতকাল যেমন হলেন বোলিংয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে।
মিরাজ টেস্টে শেষ পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সে সিরিজের সেরা হয়েছিলেন তিনি। যদিও ঘরের মাঠে লম্বা সময় পাঁচ উইকেট ছিল না তাঁর। শেষ ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পান মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।
গতকাল পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির খুশিতে মিরাজ বলেন, ‘অবশ্যই উইকেট পেলে ভালো লাগে। যেহেতু দেশে খেলা, প্রত্যাশাটাও আমার নিজের কাছে খুব বেশি ছিল না। চেষ্টা ছিল ঠিক জায়গা বল করাটা, টিমকে ভালো সাপোর্ট করা। পাঁচ উইকেট পাওয়ায় অবশ্যই ভালো জায়গায় বল করতে হয়েছে।’
এই টেস্টে প্রথম ইনিংসে রান পাননি মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে সেটা পুষিয়ে দিতে চান। অলরাউন্ডার সত্তাকে মেলে ধরতে চান। তাঁর মতে, ‘আমার কাছে যেহেতু দুটি বিকল্প আছে, সেজন্য দুটি দিকেই কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ। শেষ দুই-তিন বছর ধরে ব্যাটিংয়ে ভালো ফোকাস দিয়েছি। খুব ভালো ব্যাটিংও হচ্ছে। কিছু জায়গায় উন্নতি করেছি, আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আমার মনে হয়, দুটিতে একসঙ্গে এগােতে পারলে ভালো হবে।’
সিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিনের নায়ক মিরাজ মনে করেন আজ ব্যাটিংয়ে ভালো করবেন তারা। জিম্বাবুয়ের লিড ছাড়িয়ে সাড়ে তিনশ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিতে চান। তিনি বলেন, ‘আমরা বোলাররা খুব ভালো বল করেছি। যদিও গতকাল (প্রথম দিন) আমরা বোলাররা খুব ভালো করতে পারিনি। পেস বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। স্পিনারদের রোলটা ছিল আমরা যেন তাদের সাপোর্ট করতে পারি। সেখানে আমরা সফল হয়েছি।’
বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়কের দাবি ঠিক পথেই আছেন তারা, ‘এখন পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। কারণ ওরা ৮২ রানের লিড পেয়েছে, আমরা ২৫ রানে পিছিয়ে আছি। আমাদের ১ উইকেট গেছে, ব্যাটসম্যান আছে। আমরা যদি ভালো একটা টোটাল দিতে পারি তাদের, তাহলে ওদের জন্য চতুর্থ দিন অনেক কঠিন হবে।’
বড় স্কোর করা যে সম্ভব, তা উইন্ডিজ সিরিজের উদাহরণ দিয়ে বোঝালেন মিরাজ, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা যে ম্যাচ জিতেছি, ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৭৪ (আসলে ১৬৪) রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিলাম। পরে ওদের ১৪৫ রানে অলআউট করে লিড পেয়েছিলাম, ওদের কিন্তু ৭০ রানে ১ উইকেট ছিল। ওই ম্যাচ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। আমরা ওখান থেকে যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে জিততে পারি, আমাদের ঘরের মাঠেও পারব।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে