৫০ ম্যাচে ৩৩ গোল!

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ মৌসুমে রিয়ালের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। কিলিয়ান এমবাপ্পে।

কিন্তু তিনি নাকি রিয়াল মাদ্রিদের জার্সির ভার নিতে পারছেন না! কথাটা যিনি বলেছেন তিনিও বিখ্যাত মানুষ। রিয়াল মাদ্রিদেরই একসময়ের কোচ, ইউরোপেরও অন্যতম শ্রদ্ধাভাজন কোচ ফাবিও কাপেলো। কেন বলেছেন কথাটা, সেই ব্যাখ্যাও অবশ্য দিয়েছেন রিয়ালকে দুটি লা লিগা জেতানো ইতালিয়ান এই কোচ।

আরও পড়ুনইয়ামাল সেরা উদীয়মান, সেরা দল রিয়াল মাদ্রিদ১ ঘণ্টা আগে

কাপেলোর চোখে এমবাপ্পের এসব পরিসংখ্যানের কোনো দাম নেই। এমবাপ্পেকে নিয়ে তিনি যে কথা বলেছেন সেটির মর্মার্থ অনেকটাই এমন—রিয়ালের প্রয়োজনের মুহূর্তে জ্বলে উঠতে পারেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড। সে কারণে গোলসংখ্যায় পুষ্ট হয়েও মৌসুমের সবচেয়ে বড় দুটি প্রতিযোগিতায় রিয়ালকে শিরোপা জয়ের দৌড়ে সামনে এগিয়ে রাখতে পারেননি এমবাপ্পে।

প্রতি মৌসুমেই চ্যাম্পিয়নস লিগকে পাখির চোখ করে মাঠে নামে রিয়াল। গতবার এই শিরোপা জিতলেও এবার কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে রিয়াল। লা লিগা শিরোপা জয়ের দৌড়েও বার্সেলোনার চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে আনচেলত্তির দল। দুই দলেরই বাকি ৬টি করে ম্যাচ। বলতে গেলে এ মৌসুমে শুধু কোপা দেল রে জয়েরই ভালো সম্ভাবনা আছে রিয়ালের। আগামী রোববার সেই ফাইনালেও তাদের প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা। যাদের কাছে এ মৌসুমে আগের দুটি ক্লাসিকোতেও হেরেছে রিয়াল।

লরিয়াস স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে স্ত্রী লরা ঘিসির সঙ্গে কাপেলো.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ