দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তবে এ জন্য  আন্দোলনের প্রয়োজন নেই বলেও জানান। 

তিনি বলেন, “অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি ডিসেম্বরে নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন। তারপর আবার মধ্যরাতে সংশোধ করে প্রেস নোট দিয়ে জুনে নির্বাচনের কথা বলা হয়।”

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ কুড়িগ্রামে 'রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃত্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালা'র উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “আমরাও চাই যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়া হোক। এ জন্য আন্দোলনের দরকার নেই।”

তিনি বলেন, “৩১ দফা বিএনপির একার দফা না। বিএনপি কী করবে ক্ষমতায় গেলে সেই প্রসঙ্গগুলো ৩১ দফায় বিস্তারিত আছে। সংস্কারের প্রশ্নে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ৩১ দফার বিকল্প নেই।”

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরো যোগ দেন বিএনপির  কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু ও ড.

মাহাদী আমিনসহ, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিবাসহ জেলা বিএনপির নেতারা।্এতে ভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্ববায়ক মোস্তাফিজার রহমান। 

কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ননের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের ৬ শতাধিক নেতা। বিকেল সাড়ে ৪ টায় কর্মশালায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ