সোনাগাজীতে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে বিএনপি সমর্থককে হত্যা
Published: 22nd, April 2025 GMT
ফেনীর সোনাগাজীতে শরীর থেকে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে আবুল হাসেম (৫০) নামে এক বিএনপি সমর্থককে হত্যা করেছে বোরকা পরিহিত সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ওলামা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. বায়েজীদ আকন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। রাসেল নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।”
নিহত আবুল হাসেম সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের উত্তর চরদরবেশ গ্রামের আবদুর শুক্কুরের ছেলে। কয়েক বছর ধরে তিনি পরিবার নিয়ে সোনাগাজী পৌর এলাকার পশ্চিম বাজারে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে ঋণের চাপে কৃষকের আত্মহত্যা
নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে হত্যার পর মরদহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বোরকা পরিহিত ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী ওলামা বাজার এলাকায় আবুল হাসেমের পথরোধ করেন। তারা তাকে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির বাম হাত ও পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। সন্ত্রাসীরা আবুল হাসেমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে যান। সেখানে চিকিৎসক আবুল হাসেমকে মৃত ঘোষণা করে মরদেহ মর্গে পাঠান।
নিহতের ভাতিজা শেখ ফরিদ জানান, তার কাকা মহিষের দুধ সংগ্রহ করতে ভোরে মোটরসাইকেলে করে সাহেবের ঘাট ব্রিজ এলাকায় যাচ্ছিলেন। ওলামা বাজার এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন। মৃত্যুর আগে তিনি কয়েকজন হামলাকারীর নাম বলে গেছেন। তাদের মধ্যে রাসেল নামের একজনকে পুলিশ আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত আবুল হাসেম ২০২১ সালে একই এলাকার কৃষক বেলাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তার পরিবারের অন্তত ১০ সদস্যকে আসামি করা হয়। দীর্ঘ তিন বছর কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান এবং সোনাগাজীতে বসবাস শুরু করেন।
সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু বলেন, “আবুল হাসেম আমাদের দলের সমর্থক ছিলেন। কোনো পদে না থাকলেও মিছিল-মিটিংয়ে নিয়মিত অংশ নিতেন তিনি। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছি।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ব এনপ এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
আরো একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র, আশঙ্কাজনক ৩
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনকে ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার নাম ফারজানা ইয়াসমিন (৪৫)। তিনি ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। এ ঘটনায় এখনো আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২ জন।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন
তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আইসিইউতে ছিল ৩ জন। তবে তাদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ তাকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মোট ৩২ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ৩ জন ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে আর তাদের চেয়ে কম গুরুতর ৭ জন রয়েছে সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ড ও কেবিনে ভর্তি রয়েছে। গত তিন দিনে নতুন করে কোনো মৃত্যু নেই।”
আরো পড়ুন:
সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’
মাদ্রাসার মাঠ দখল করে ইউপি সদস্যের বীজতলা
ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “৩২ জনের ১৪ জন শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। বাকিরা স্টেবল রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত সব রোগীর একাধিকবারসহ সব মিলিয়ে ১৫৮টি ছোট-বড় অপারেশন করা হয়েছে।”
বার্ন ইনস্টিটিউটে আর আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করা হবে না। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রতিদিনের আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক।
ঢাকা/সাইফ