চার মাস পর উপাচার্য পেয়েছে চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এস এম নসরুল কদিরকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এএসএম কাশেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। 

গত বছরের ৬ ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক ড.

অনুপম সেন। একই সঙ্গে পদত্যাগ করেছিলেন উপ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষও। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃত্ব ফিরে পায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়ন্ত্রণে নেয়। তাদের নিয়ন্ত্রণেই 
বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত হয় গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পর্যন্ত। 

উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. নসরুল কদিরকে ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁর নিয়োগের মেয়াদ হবে যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন এবং আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যেকোনো সময় এ নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন।

অধ্যাপক এস এম নসরুল কদির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিনের দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ