দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার মহেশ বাবুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, অন্ধ্র প্রদেশের তেলেঙ্গানার একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের অর্থ পাচার–কাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছে। সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে অভিনেতার। তেলেঙ্গানা পুলিশের করা এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মামলাটি তদন্ত করছে। তদন্তের জন্য মহেশ বাবুকে তলব করেছে ইডি। ২৮ এপ্রিল হায়দরাবাদে তদন্ত সংস্থার অফিসে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, একই জমি একাধিক ক্রেতার কাছে বিক্রির অভিযোগ ওঠে রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে অর্থ পাচারের অভিযোগও আনা হয়েছে। ইডি কর্মকর্তাদের দাবি, মহেশ বাবু প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছাদূত হওয়ায় অনেক সাধারণ মানুষ এ প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বাস করে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে জমি কিনতে গিয়ে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অভিনেতার ভাবমূর্তির কারণেই অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন অনেকে। তাই সরাসরি যুক্ত না থেকেও অভিনেতার নাম জড়িয়েছে।

সিনেমার দৃশ্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ