নন্দিত কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদের জন্ম ঢাকায়। তবে তাঁর পৈতৃক ভিটা মুন্সীগঞ্জে। সেই জেলাতেই এবার গাইবেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে গাইবেন বাবা ফেরদৌস ওয়াহিদও। শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর এলাকার বটতলা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ওপেন এয়ার কনসার্ট।

যেখানে অংশ নেবেন এক ঝাঁক শিল্পী। এর মধ্যে মূল আকর্ষণ হাবিব ওয়াহিদ ও খুরশীদ আলম। এ ছাড়া অভিনেতা ওমর সানী থাকবেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে হাবিব ওয়াহিদ বলেন, ‘গান রেকর্ডিং ও স্টেজ শো নিয়ে বছরজুড়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এ কারণে গ্রামে যাওয়ার সময় খুব কম মেলে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর গান শোনাতে নিজ গ্রাম মুন্সীগঞ্জে যাচ্ছি। যুব সমাজের উদ্যোগে এ আয়োজন হবে। প্রিয় মানুষদের গান শোনাব, এটা ভাবতেই ভালো লাগছে।'

তিনি আরও বলেন,‘এবার আমার বাবাও থাকবেন। বাবার সঙ্গে গান গাওয়ার আনন্দই আলাদা। সেটা খুব উপভোগ করি। আমার শ্রোতাপ্রিয় গানগুলো গাওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি, জমজমাট একটি গানের আসর উপহার পাবেন দর্শকরা।’

প্রসঙ্গত,  হাবিব সম্প্রতি বেশ কিছু মৌলিক গান করেছেন। সেগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ হবে। এ ছাড়া ফেরদৌস ওয়াহিদের উপস্থাপনায় একটি টিভি আয়োজনে অংশ নেবেন তিনি। শিগগিরই এটির প্রচার শুরু হবে চ্যানেল আইয়ে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ