ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ১১ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি। তারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরিশাল জেলার আগৈলঝাড় থানার বাহাদুরপুর গ্রামের হলধর মল্লিককের ছেলে কৃষ্ণ মল্লিক (৬০) ও একই গ্রামের কালি পদ বালার ছেলে রুনু মল্লিক (৫৫), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পলাশপোল গ্রামের আতিয়ার হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২১), নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামের ছয়ফাল কাজীর ছেলে রিপন কাজী (৩০), নড়াইল সদর উপজেলার বড়গাতি গ্রামের ইদ্রীস শেখের ছেলে নাজমুল শেখ (৩২) ও একই গ্রামের ওহাব শেখের ছেলে সোহেল শেখ (২৬)। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুইজন শিশু রয়েছে।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় দেড় কেজি স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১  

সুনামগঞ্জে ভারতীয় কসমেটিক্স ও বিস্কুট জব্দ

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মহেশপুর উপজেলার নিমতলা, মাধবখালী, বেনীপুর, কুসুমপুর ও বাঘাডাংগা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা দালালচক্রের সহায়তায় সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টায় করছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদের মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ