গাজীপুরে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে পৌনে এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ
Published: 23rd, April 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১ নম্বর সিঅ্যান্ডবি এলাকায় নিট হরাইজন কারখানার শ্রমিকেরা এই আন্দোলন শুরু করেন। পরে তাঁরা বেলা সোয়া ১১টায় সড়ক থেকে সরে পাশে অবস্থান নেন।
বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের দুই পাশের লেনে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন। সেখানে উপস্থিত আছেন শিল্প পুলিশ ও শ্রীপুর থানা-পুলিশের সদস্যরা। সড়কে অবস্থান করায় ঢাকা ও ময়মনসিংহ অভিমুখী লেনে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ।
বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, এমন আশ্বাস পেয়ে শ্রমিকেরা সড়ক ছেড়ে পাশের খোলা জায়গায় অবস্থান নেন। পরে সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
আকলিমা খাতুন নামের এক শ্রমিক বলেন, গত সোমবার কারখানার ৪০ জন শ্রমিককে বিনা কারণে ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁরা গতকাল মঙ্গলবার কারখানায় গিয়ে ছাঁটাই করা শ্রমিকদের ফেরত আনার জন্য আবেদন করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু তারা কথা রাখেনি।
আরও পড়ুনগাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে তুসুকা গ্রুপের ৬ কারখানায় ৩ দিনের ছুটি২১ এপ্রিল ২০২৫আরেক শ্রমিক শাকিল আহমেদ বলেন, আজ কারখানায় গিয়ে দেখেন, ফটকে কারখানা বন্ধের নোটিশ টানানো। ৪০ জন শ্রমিককে ফেরত নেওয়ার দাবি করায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। দ্রুত তাঁদের বহাল করে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এসব বিষয়ে নিট হরাইজন কারখানা কর্তৃপক্ষের ভাষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইয়ুব আলী বলেন, শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন। পরে সেনাসদস্যরা এসে আলোচনা করেন। এরপর শ্রমিকেরা সড়ক থেকে সরে যান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ