কোনাবাড়ীতে ছুটি ঘোষণা করা তুসুকা গ্রুপের কারখানার ১৯৭ শ্রমিক ছাঁটাই
Published: 23rd, April 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় তিন দিন আগে ছুটি ঘোষণা করা তুসুকা গ্রুপের ৬টি কারখানার ১৯৭ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ছাঁটাই করা শ্রমিকদের নামের তালিকা কারখানার মূল ফটকে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনাবাড়ীতে তুসুকা গ্রুপের ছয়টি কারখানা তুসুকা জিন্স লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড ও তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেডের অবস্থান। গত শনিবার কারখানাগুলোর শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি শুরু করেন। পরে কর্তৃপক্ষ গত সোমবার থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এর মধ্যে আজ ১৯৭ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়।
ছাঁটাইয়ের খবর শুনে পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা আজ সকাল থেকে কারখানার ফটকে ভিড় করেন। শ্রমিক এরশাদ মিয়া বলেন, ‘শ্রমিক ছাঁটাইয়ের কথা শুনে গেটে এসে দেখি আমার নামও আছে। আমরা তো ভাঙচুর করি নাই। ভেতরে অবস্থান করেছিলাম।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘আমরা কাজ বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান করেছিলাম। কোম্পানির কোনো ক্ষতি করিনি। তখন কারখানা কর্তৃপক্ষ বলেছিল তোমাদের ছাঁটাই করা হবে না।’
তুসুকা গ্রুপের পরিচালক তারেক হাসান বলেন, শ্রম আইনের বিধি মোতাবেক ১৯৭ জন শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। তাঁদের সব পাওনা শ্রম আইন অনুযায়ী পরিশোধ করা হচ্ছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এই ছাঁটাই করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুনগাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে তুসুকা গ্রুপের ৬ কারখানায় ৩ দিনের ছুটি২১ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট ই কর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’