চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একটি বিদ্যালয়ের কক্ষে ১৬ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যাঁদের বেঁধে রাখা হয়, তাঁদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মুঠোফোন, একটি মোটরসাইকেল ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ ছাড়া বিদ্যালয়টির পাশে অবস্থিত তিনটি বসতঘর থেকে চারটি গরু ডাকাতি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুখছড়ি বাকের আলীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ১৫ সদস্যের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল রাতে একটি জিপ নিয়ে এলাকায় আসে। তখন গ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দা ঘুমিয়ে ছিলেন। কিছু বাসিন্দা পাশের গ্রামে আয়োজিত কবিগানের আসর থেকে ফিরছিলেন। এসব বাসিন্দার মধ্যে ১৬ জন গ্রামে ফেরার সময় কয়েক ধাপে ডাকাত দলের সামনে পড়েন। ডাকাত দল ওই বাসিন্দাদের অস্ত্রের মুখে স্থানীয় দক্ষিণ সুখছড়ি শাহ্ সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। এরপর বাসিন্দাদের হাত ও মুখ রশি ও কাপড় দিয়ে বাঁধা হয়। পরে মুঠোফোন, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে কক্ষটিতে তাঁদের আটকে রাখে ডাকাত দল। একই সময়ে পাশের তিনটি বসতঘর থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা মূল্যের ৪টি গরু ডাকাতি করে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হক এ ঘটনা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অস্ত্রের মুখে ১৬ জনকে বিদ্যালয়ে আটকে রাখে ডাকাত দল। ডাকাতেরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আটকে রাখা ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক গোবিন্দ চন্দ্র দাশ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড ক ত দল

এছাড়াও পড়ুন:

বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণের পর ১১ বসতঘরে আগুন

একটি ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণের পর সূত্রপাত হয় আগুনের। এরপর তা ছড়িয়ে পড়লে পুড়ে যায় ১১টি বসতঘর। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের পশ্চিম মনকিচর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কালু মাঝির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরগুলো আবুল কালাম, মরিয়ম বেগম, নুরুল আলম, রেহানা বেগম, মনির উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, মিনার বেগম, রোজিনা বেগম, রহিমা বেগম, মো. শাকিল ও কহিনুর আক্তারের। ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ২টা ৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় রাত ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ নুরী প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রাথমিকভাবে ৫০ কেজি করে চাল ও ২টি করে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আগুনে ১১টি ঘরে অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সিদ্দিক আকবর।

বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত। এরপর ঘরগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কলাপাড়ায় বসতঘর থেকে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণের পর ১১ বসতঘরে আগুন