ফেনীর সোনাগাজীতে আবুল হাসেম (৫০) নামে এক বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীকে নোয়াখালী ও অন্য চার আসামিকে সোনাগাজীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, মূল পরিকল্পনাকারী আক্তার হোসেন (৩৫), রাকিব (২৫), সোলেমান (৪৫), শেখ রাসেল (৩০) ও শিপন (৩০)। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর আসামিদের দেওয়া তথ্যে তিনটি বোরকা, রক্তমাখা দুটি লোহার রড, একটি দা, একটি ওড়না ও তিন প্যাকেট বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে।

দিনে-দুপুরে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সোনাগাজীসহ পুরো ফেনীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু বলেন, ‘‘এই নৃশংস হত্যার দ্রুত বিচার চাই। তবে কেউ যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হয়, প্রশাসনকে সেই বিষয়ে দায়িত্বশীল হতে হবে।’’

আরো পড়ুন:

আড়াইহাজারে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক

রাউজানে যুবদল কর্মীকে মাথায়-বুকে গুলি করে হত্যা

চরদরবেশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘এ ধরনের নির্মম হত্যার ঘটনায় শুধু নিন্দা নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে আইনের সহযোগিতা করতে হবে, যেন কেউ রেহাই না পায়।’’

সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন জানান, হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত। চার বছর আগের ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোরে সোনাগাজী উপজেলার ওলামা বাজার এলাকার কাছে আবুল হাসেমের ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে মহিষের দুধ সংগ্রহে যেতেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বোরকা পরা একদল দুর্বৃত্ত তার মোটরসাইকেলের পথরোধ করে। তাকে রাস্তার পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাম হাত ও পা কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে। পরে তাকে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে চলে যায় হামলাকারীরা।

ঘটনার দিন নিহতের বাবা আব্দুস শুক্কুর ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সোনাগাজী, চরদরবেশ ও নোয়াখালীর চর জব্বার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় চরচান্দিয়া ইউনিয়নের নতুন সওদাগর হাট জামে মসজিদ মাঠে আবুল হাসেমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। 

ঢাকা/সাহাব/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ব এনপ র কল প

এছাড়াও পড়ুন:

সালিশে বেত্রাঘাত করায় সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৬

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রাম্য সালিশে বেত্রাঘাত ও জরিমানা করার জেরে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে মামলা হলে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গ্রামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে অবস্থান নেন গৃহবধূ। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক এস এম জাকিরের নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে সালিশ বৈঠক বসে।

বৈঠকে যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৫০টি বেত্রাঘাত ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে যুবকের বড় ভাই প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রদল নেতা জাকিরসহ ছয়জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে জাকিরসহ দু’জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত যুবকের বড় ভাই বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা জাকির ও তার পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সুবিধা আদায় করছে।’

ছাত্রদল নেতা এস এম জাকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকেসহ আমার স্বজনের ওপর হামলা করে আহত করা হয়েছে।’ ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এতে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ আটক ৫ 
  • সালিশে বেত্রাঘাত করায় সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৬