ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে পোশাক শিল্পে শোক দিবস ঘোষণা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের এক জীবনের ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে হতাহত শ্রমিকদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সন্ধ্যায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের রানা প্লাজার বেদীর সামনে মোমবাতি জালিয়ে তাদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে অন্তত ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক নিহত এবং ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক আহত হয়। 

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ১২ বছর পূর্ণ হলেও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়নি। এটাকে দুর্ঘটনা বললে ভুল হবে, এটা হত্যাকাণ্ড। ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রয়োজনীয় সহায়তা, পুনর্বাসন এবং আহতদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা দিতে হবে।’’ 

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

সুনামগঞ্জের হাওরে বজ্রপাত, ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু

বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘‘শ্রমিকরা আহত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘোরে। তারা এখন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেল না। ১২ বছর পার হয়ে গেল রাজা প্লাজার ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার আমরা দেখতে পাইনি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাই।’’  

বাংলাদেশ টেক্সটাইল-গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুব আলম ইসমাইল বলেন, ‘‘রানা প্লাজার জায়গা ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে আহত শ্রমিক ও নিহত শ্রমিকের পরিবারকে পুনর্বাসন, আহতদের সু-চিকিৎসা, সোহেল রানাসহ দায়ী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। রানা প্লাজা ধসের দিন ২৪ এপ্রিল কে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করতে হবে।’’ 

এ সময় বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশনের মোতালেব হোসেন রতন, সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশন নাহিদুল ইসলাম নয়ন, রানা প্লাজা সারভাইভার্স এসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/সাব্বির/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত গ র ম ন টস

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় জিয়াউল হক (৬৫) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল পুলিশবাহী বাস, আহত ২০

খাগড়াছড়িতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট থেকে পাঁচজন পর্যটক নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে যাচ্ছিল। ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাথরবাহী ট্রাক্টর অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জিয়াউল হককে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ বলেন, ‘‘ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/নূর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫