সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, “প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি সুন্দর দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার যে সুযোগ পেয়েছি, এ সৌভাগ্যটা উপলব্ধি করে পিছনের জঞ্জাল, দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে মন্ত্রণালয়কে শৃঙ্খলায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে।”

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁও সমাজসেবা অধিদপ্তরে মধুমতি মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী ‘সামাজিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অংশীজনদের নিয়ে পথচলা’ মূলভাবনায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের ‘উপপরিচালক সম্মেলন ২০২৫’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.

সাইদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন ।

উপদেষ্টা বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে একটি ঐতিহাসিক ধারার মধ্য দিয়ে। আপনারা বিগত সরকারের সকল ক্ষেত্রে যে ভিন্নতা লক্ষ্য করেছেন এতসব কিছুর ভিন্ন হাওয়াটা আপনাদের গায়ে নিশ্চয়ই এসে লেগেছে। বিগত সরকারের অপশাসন, দুর্নীতিতে সমাজ নিষ্পেষিত ছিল, যার ফলে জুলাই আন্দোলন তারুণ্যের বিপ্লব সংগঠিত হয়েছিল। দেশ এখন নতুন মূল্যবোধ, নতুন বয়ানের জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা নতুন বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখি, সমাজের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় দুস্থ মানুষের সেবা করার যে স্বপ্ন দেখি- এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনাদের একাউন্টটিবিলিটি নিশ্চিত হতে হবে।”

অন্যান্যের মধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ, শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ট্রাস্ট, শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয়, জেলা কার্যালয় ও সদর কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ