নাফ নদী থেকে বাংলাদেশি দুই জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
Published: 24th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের নাফ নদী থেকে বাংলাদেশি দুই জেলেকে ধরে নিয়ে গেছেন মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) সদস্যরা। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে বগার দ্বীপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃত দুজন হলেন হোয়াইক্যংয়ের বালুখালীর আবদুল হাকিমের ছেলে বাদশা আলম (৪৫) ও একই এলাকার রশিদ আহমেদ ছেলে আবুল কালাম (৪০)। তাঁদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সিরাজুল মোস্তফা।
সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গতকাল সকালে নৌকা নিয়ে দুই জেলে ওই এলাকায় মাছ ধরতে যান। এ সময় মিয়ানমার থেকে এসে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নৌকাসহ তাঁদের ধরে নিয়ে যান। এ ঘটনায় এলাকার জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ মাহাফুজুর রহমান বলেন বলেন, ‘আরাকান আর্মির কারণে জেলেরা খুব আতঙ্কের মধ্য আছেন। প্রায় সময় নাফ নদী থেকে জেলে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।’
ওই সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা উখিয়ার ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, নাফ নদীর ওই এলাকায় মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে যাওয়ায় হয়তো ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তারপরও এটি নিয়ে বিজিবি কাজ করছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ক ন আর ম ন ফ নদ
এছাড়াও পড়ুন:
‘নতুন কৌশলে’ তেল আবিব ও হাইফায় ইরানের হামলা
‘নতুন কৌশলে’ ইসরায়েলের তেল আবিব ও বন্দরনগরী হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চালিয়েছে ইরান। স্থানীয় সময় আজ সোমবার ভোররাতে তেল আবিবের আকাশে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের দৃশ্য দেখা যায়। একই সময় জেরুজালেমেও শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ। হামলায় পাঁচ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি লক্ষ্য করে চালানো আগাম হামলার পাল্টা জবাব হিসেবেই তেহরান এই আঘাত হানে।
জাতীয় জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, সর্বশেষ ইরানি হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ইরানি হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। হামলায় আরও অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছে।
হাইফায় ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান চলছে। জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, সেখানে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। বন্দরের কাছে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
তেল আবিবের একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এই এলাকার মাত্র কয়েকশ মিটার দূরেই মার্কিন দূতাবাসের একটি শাখা অবস্থিত। দূতাবাস ভবনে কিছু ক্ষতি হলেও কেউ আহত হয়নি বলে জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
এদিকে ইরানের বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় তারা এমন একটি ‘নতুন কৌশল’ ব্যবহার করেছে। এর ফলে ইসরায়েলের বহুস্তরবিশিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছে।
আইআরজিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযানে ব্যবহৃত উদ্যোগ ও সক্ষমতাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তির সর্বোচ্চ সমর্থন এবং আধুনিকতম প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সত্ত্বেও, ইসরায়েলের অধিকৃত ভূখণ্ডের লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই হামলা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি । তবে তারা বারবার বলে আসছে, তাদের ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শতভাগ সুরক্ষিত নয় এবং সামনে আরও কঠিন সময় আসছে।
ইরানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ২২৪ জন। নিহতদের ৯০ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার সকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা আবারও ইরানের বিপ্লবী গার্ড ও সামরিক বাহিনীর কমান্ড সেন্টারগুলোতে হামলা চালিয়েছে।