জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় স্বতন্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র, ৮টি লার্নিং সেন্টার, একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও ৮টি আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নগর কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বতন্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা, পিএসসিসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি হবে। পরীক্ষা চলাকালীন কলেজগুলোতে দীর্ঘ সময় ক্লাস বন্ধ থাকে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে। স্বতন্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হলে সেশনজট কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। স্বতন্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সার্বিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুনকুয়েটের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৪ ঘণ্টা আগে

পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য কুয়াকাটা (পটুয়াখালী), টেকনাফ (কক্সবাজার), রাঙামাটি, হবিগঞ্জ, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়), শ্যামনগর (সাতক্ষীরা), শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ও হাতিয়ায় (নোয়াখালী) লার্নিং সেন্টার; অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলায় শিক্ষক প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণের জন্য ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

আরও পড়ুনইন্দোনেশিয়ার আইপিএস বৃত্তি, সুযোগ স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে৭ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানের রাস্তায় রাস্তায়  ‘হিটেড বেঞ্চ’

জাপানের টোকিও, সাপোরো এবং ওসাকার মতো বড় বড় শহরগুলোর রাস্তায় হিটেড বেঞ্চ বসানো হয়েছে। তীব্র শীতের রাতে গৃহহীন মানুষদের উষ্ণতা এবং স্বস্তি দেওয়াই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।এই বেঞ্চগুলো সৌরশক্তি চালিত হয়ে থাকে।

হিটেড বেঞ্জগুলো দিনের বেলায় সূর্যের আলো থেকে তাপ সংগ্রহ করে বিশেষ "ফেজ-চেঞ্জ মেটেরিয়াল" ব্যবহার করে তা সংরক্ষণ করে।  এরপর সংরক্ষিত তাপ রাতে ধীরে ধীরে নির্গত হয় এবং প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত উষ্ণতা সরবরাহ করতে পারে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। 

আরো পড়ুন:

কারা বেশি কাঁদেন? 

যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়

হিটেড বেঞ্চের জন্য কোনো অতিরিক্ত জ্বালানী বা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। এই মানবিক উদ্যোগটি জাপান সরকারের একটি সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ, যা নগর পরিকল্পনায় উদ্ভাবন এবং সামাজিক কল্যাণের এক চমৎকার উদাহরণ বলছেন দেশটির নাগরিকেরা। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ