জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় স্বতন্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এছাড়া আটটি লার্নিং সেন্টার, একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আটটি আঞ্চলিক কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ নগর কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা এবং পিএসসিসহ অন্যান্য সরকারি -বেসরকারি চাকরি নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি হবে। পরীক্ষা চলাকালীন কলেজগুলো দীর্ঘ সময় ক্লাস বন্ধ থাকে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে। স্বতন্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হলে সেশনজট কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সার্বিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে ।

এতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য কুয়াকাটা (পটুয়াখালী), টেকনাফ (কক্সবাজার), রাঙ্গামাটি, হবিগঞ্জ, তেতুলিয়া (পঞ্চগড়), শ্যামনগর (সাতক্ষীরা), শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ও হাতিয়ায় (নোয়াখালী) লার্নিং সেন্টার; অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণের জন্য ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নেশা ও জুয়ায় টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় নেশা ও জুয়া খেলার টাকা না পেয়ে রুকসানা বেগম (৪০) নামে এক নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বামী শাহ আলম শেখের (৫০) বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ জুন) রাতে উপজেলার লখাইরচর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত শাহ আলম একই গ্রামের ইসমাইল শেখের ছেলে।

রবিবার (১৫ জুন) রুকসানা বেগম বলেন, “২৫ বছর আগে শাহ আলমের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পরে থেকেই আমাকে আমার স্বামী নির্যাতন করেন। তিনি প্রতিনিয়ত জুয়ার আসরে বসেন এবং নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে ফেরেন।”

আরো পড়ুন:

দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

খুলনায় আ.লীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ 

তিনি বলেন, “গতকাল শনিবার রাতে তিনি আমার কাছে জুয়া খেলা ও নেশা করার টাকা চান। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় মারধর শুরু করেন। বাধা দিতে এগিয়ে আসলে ছেলে সিয়াম আহম্মেদ (১২) ও মেয়ে খাদিজা আক্তার সুচনাকেও (২২) মারধর করেন আমার স্বামী।”

রুকসানা বেগম বলেন, “ঘটনার পর আমাকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে শাহ আলম শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মুকসুদপুর থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল বলেন, “এখন পযর্ন্ত থানায় কোনো আভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ