লালমনিরহাটের তিস্তা সেতুর টোল প্লাজায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রাজুর (২৪) নেতৃত্বে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ। এতে যুবদলের বেশ কিছু কর্মী অংশ নিয়েছিলেন। 

এ ঘটনায় তিস্তা সড়ক সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রানা কন্সট্রাকশনের মালিক নাজমুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার সদর থানায় মামলা করেছেন। তিনি রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি। এজাহারে রাজুকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে রাজু ও তার সঙ্গে কিছু লোকজন মোটরসাইকেলে টোল প্লাজা এলাকায় আসেন। এ সময় টোল না দিয়ে গাড়ি পার করতে চাইলে কর্মচারীরা রাজি হয়নি। তখন কর্মচারীদের সঙ্গে রাজুর তর্ক হয়। রাত ৮টার দিকে রাজু ও তার লোকজন টোল এলাকায় এসে হামলা করে। কর্মচারীদের মারধর করে। চার থেকে পাঁচজন আহত হয়। টোল প্লাজার ক্যাশ বাক্স থেকে ১৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে লালমনিরহার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুন্নবী জানান, প্রাথমিক তদন্তে ছিনতাই বা ডাকাতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে সবকিছু জানা যাবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিভাগীয় কর্মকর্তাকে নিতে ৫ কিমি দূর থেকে ফিরে এলো ট্রেন

বিভাগীয় কর্মকর্তাকে নিতে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন ঠাকুরগাঁও রোড স্টেশনে ফিরে আসে। আচমকা ট্রেন ফিরিয়ে আনার পর ‘নরমাল ট্রেন’ বলে সেই ট্রেনে যাত্রা করতে অস্বীকৃতি জানান সেই কর্মকর্তা। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন যাত্রীরা। যাত্রীদের রোষাণলে পড়ে অবশেষে সেই ট্রেনেই যাত্রা করতে বাধ্য হয় এই রেল কর্মকর্তা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনে এমন ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল। ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা আলম লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে আছেন।

ট্রেনের যাত্রী আমাজ হোসেন জানান, বিকেল ৪.২৬ মিনিটে ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় পার্বতীপুরগামী কাঞ্চন সেমি আন্তঃনগর ট্রেনটি। প্রায় ৫ কিলোমিটার যাওয়ার পর হঠাৎ ট্রেনটি পিছনদিকে ফিরে যেতে থাকে। এ ঘটনায় ট্রেনের ভিতরে থাকা যাত্রীদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। 

এক পর্যায়ে ট্রেনটি ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনে ফিরে এলে যাত্রীরা জানতে পারেন এক বিভাগীয় কর্মকর্তা ট্রেনে যাত্রা করার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ফিরিয়ে এনেছেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে যাত্রীরা। 

তবে ট্রেন ফিরিয়ে আনার পরে সেই ট্রেনে যাত্রা করতে অস্বীকৃতি জানান ওই কর্মকর্তা। এতে আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন ট্রেনের যাত্রীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্টেশন এলাকাজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে জনসাধারণের রোষাণলে পরে ট্রেনে উঠতে বাধ্য হন ওই রেল কর্মকর্তা।

ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাষ্টার মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসেন লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবু হেনা মোস্তফা আলম। ঠাকুরগাঁও থেকে তার দিনাজপুরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে আগে থেকে সে বিষয়ে আমাদেরকে জানাননি। লালমনিরহাট অফিসের নির্দেশে ট্রেনটি আবারো স্টেশনে ফিরে আসে। ফিরিয়ে আনার পরে লোকাল ট্রেন হওয়ায় তার ট্রেনটি পছন্দ হয়নি। তাই তিনি পরবর্তী ট্রেনে যাত্রা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যাত্রীদের ক্ষোভের কারণে তিনি সেই ট্রেনেই যাত্রা করেন।” 

এই বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবু হেনা মোস্তফা আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকা/হিমেল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ