প্রতি সপ্তাহে দেখা করার শর্তে বিচ্ছেদ এড়াচ্ছেন গার্দিওলা
Published: 25th, April 2025 GMT
ম্যানচেস্টার সিটিতে বাজে সময় কাটাচ্ছেন পেপ গার্দিওলা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছে তার দল। প্রিমিয়ার লিগে সেরা পাঁচে থাকার নিশ্চয়তা মেলেনি এখনো। সাবেক বার্সেলোনা কোচের বাজে সময় যাওয়ার পেছনে স্ত্রী ক্রিস্টিনা সেরার সঙ্গে বিচ্ছেদ হতে যাওয়াকে একটা কারণ মনে করা হচ্ছিল।
পেপ গার্দিওলার স্ত্রী ক্রিস্টিনা বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন। সংবাদ মাধ্যম এল ন্যাশিওনালের মতে, চলতি মাসেই ওই বিচ্ছেদ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে তিনদিন একসঙ্গে থাকার পর ক্রিস্টিনা আপাতত বিচ্ছেদের পথ থেকে সরে এসেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
সেজন্য এক শর্ত দিয়েছেন ৫১ বছর বয়সী এই বিজনেসপার্সন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার করে কাতালুনিয়া যেতে হবে গার্দিওলার। সময় কাটাতে হবে তাদের সঙ্গে। সংবাদ মাধ্যমের মতে, ক্রিস্টিনা দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েছেন গার্দিওলাকে।
গত বছরের নভেম্বরে ম্যানসিটির সঙ্গে নতুন করে দুই বছরের চুক্তি নবায়ন করেন গার্দিওলা। ন্যাশিওনালের মতে, এটাই নাকি তাদের বিচ্ছেদ হতে যাওয়ার প্রধাণ কারণ। ক্রিস্টিনা তার ছোট সন্তানকে নিয়ে ২০১৯ সালে কাতালুনিয়া ফিরে যান এবং নিজের ব্যবসায় মনোযোগ দেন। তিনি সুপরিচিত একজন ফ্যাশন ডিজাইনার ও ইনফ্লুয়েন্সার।
ক্রিস্টিনা ম্যানচেস্টার ছাড়ার সময় কথা ছিল ২০২৪-২৫ মৌসুম শেষ করে পেপ গার্দিওলাও কাতালুনিয়ায় ফিরে আসবেন। কিন্তু গার্দিওলা সেটা না করে দুই বছরের চুক্তি নবায়ন করেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন ক্রিস্টিনা।
তিন যুগ ধরে ক্রিস্টিনা ও পেপ গার্দিওলা একসঙ্গে আছেন। ১৯৯৪ সালে পেপ গার্দিওলা যখন বার্সেলোনায় খেলেন এবং ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করছেন তখন ক্রিস্টিনার সঙ্গে প্রেম হয় তার। দু’জন ডেটিং শুরু করেন। ২০১৪ সালে সম্পর্কের প্রায় ২০ বছর পরে বিয়ে করেন তারা। ততদিনে সংসারে এসে গেছে তিন সন্তান। এরপর মিউনিখ, ম্যানচেস্টার ঘুরে ক্রিস্টিনা স্থায়ী হয়েছেন কাতালুনিয়ার বাড়িতে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা