সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের স্বামী ও মেয়ে। তাদের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কুমিরা কদমতলা মোড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন- খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি গ্রামের অমিত সাধুর স্ত্রী রিতা সাধু ও তাদের তিন বছরের ছেলে সৌরভ সাধু। আহতরা হলেন অমিত সাধু এবং তার মেয়ে।

আরো পড়ুন:

দ্রুতগতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিলো ২ শিক্ষার্থীর প্রাণ

ফুলবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানের চালক ও যাত্রী নিহত

অমিত সাধুর বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, স্ত্রী রিতা এবং দুই সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে শ্বশুরবাড়ি যশোরের কেশবপুরে বেড়াতে যাচ্ছিলেন অমিত সাধু। কুমিরার কদমতলা মোড়ে খুলনাগামী একটি বাস তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। সড়কে ছিটকে পড়েন অমিত সাধু ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় বাসের চাপায় অমিতের স্ত্রী রিতা এবং ছেলে সৌরভ ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয়রা অমিত এবং তার মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করেন।

পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার দাশ বলেন, “বাসের ধাক্কায় মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বাসটিকে আটকানো যায়নি। রাস্তা ফাঁকা থাকায় বাসটি দ্রুত পালিয়ে যায়।”

তিনি আরো বলেন, “কোন বাস ঘটনাটি ঘটিয়েছে সেটি  নিশ্চিত করা বলা যাচ্ছে না। আমরা লাশ দুইটি মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত

এছাড়াও পড়ুন:

গুলিতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু, ছুরিকাঘাতে যুবক খুন 

রাজধানীর বাড্ডায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (৪০) মারা গেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন শাহবাগে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত এবং নীলক্ষেত এলাকার একটি হোস্টেল থেকে এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বাড্ডায় নিহত আনোয়ারের গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় থাকতেন। স্বজনের অভিযোগ, গত ৮ মে রাত ১১টার দিকে বাড্ডার ভূঁইয়াবাড়ি টেকপাড়ায় শুটার সালাউদ্দিন, নুরা পাগলা, মাহিন, নয়ন, ইউসুফসহ কয়েকজন আনোয়ারকে মারধর করেন এবং পেটে গুলি করেন। 

বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, গুলির ঘটনার পর আনোয়ারের পরিবারকে মামলা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা মামলা করেননি। গতকাল মারা যাওয়ার পর হত্যা মামলা করা হয়েছে। 

এদিকে, শাহবাগে ছুরিকাঘাতে মো. মোবারক (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শাহবাগ শিশুপার্কের সামনে ফুট ওভারব্রিজের নিচে এই ঘটনা ঘটে। মোবারক শাহবাগ মেট্রো স্টেশনের নিচে থাকতেন। 

নিহতের চাচাতো ভাই রবিউল জানান, মোবারক শাহবাগ এলাকার এক মাদক কারবারি নবীর কাছ থেকে মাদক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত। সপ্তাহখানেক আগে তার কাছ থেকে মোবারক বাকিতে ৪ হাজার টাকার মাদক নিয়েছিল। নবী গতকাল বিকেলে রাতুল, রাজুসহ কয়েকজনকে মোবারকের কাছে টাকা আনতে পাঠায়। শিশুপার্ক ওভারব্রিজের নিচে মোবারকের কাছে টাকা চাইলে সে দিতে পারবে না বলে জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজু ও রাতুল মোবারককে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে মোবারককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

অন্যদিকে, নীলক্ষেত এলাকার একটি নারী হোস্টেল থেকে গতকাল দুপুরে রিয়া আক্তার শান্তা (৩০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শান্তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল সদরের পলাশপুরে। তিনি অগ্রণী ব্যাংকে চাকরি করতেন। 

ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার তারিক লতিফ বলেন, দুপুর ১টার দিকে নীলক্ষেত নারী কর্মজীবী হোস্টেলে পুরাতন বিল্ডিং ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে সিলিংফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় শান্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ