ঝলসানো যুবকের মরদেহ মিলল নদীর পাশের জঙ্গলে
Published: 25th, April 2025 GMT
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার করতোয়া নদীর পাশের জঙ্গল থেকে ৩৭ বছর বয়সী এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের চন্ডিজান মহাশ্মশান সংলগ্ন নদীর পাশের জঙ্গলে লাশটি পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, নিহতের শরীর ও মুখ ঝলসানো ছিল। তাদের ধারণা, যুবককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, চন্ডিজান এলাকার মাজেদা খাতুন নামে এক নারী জ্বালানি সংগ্রহের জন্য শ্মশানের পাশের জঙ্গলে যান। সেখানে তিনি প্রথমে লাশটি দেখতে পান। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে যান। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে ধানক্ষেত থেকে অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার
কবরের ওপর পড়ে ছিল গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা মরদেহ
শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নাম না জানা যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “নিহতের শরীর ও মুখ ঝলসানো ছিলে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। লাশটি আগুনে পোড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তদন্ত চলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি