খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, সকালে চা পান করার সময় হাতে পত্রিকা না পেলে অনেকের যেন দিনই শুরু হতো না। খবরের সেই আবেদন আগের মতোই রয়ে গেছে। শুধু ধরন পাল্টেছে। কাগজের পত্রিকার জায়গায় এসেছে স্ক্রিনে ভেসে ওটা সংবাদ। যাকে আমরা ‘অনলাইন পোর্টাল’ বা অনলাইন গণমাধ্যম বলি।

সংবাদের জন্য মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষার দিন শেষ হয়েছে। অনলাইন গণমাধ্যমের কল্যাণে মুহূর্তের মধ্যেই বিভিন্ন সংবাদ এখন পাঠকের কাছে পৌঁছে যায়। ফলে অনলাইন গণমাধ্যমই হয়ে উঠেছে মানুষের ভরসাস্থল। কাগজে ছাপার জন্য সংবাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল। রাত ৮টার পরে যত গুরুত্বপ‍ূর্ণ সংবাদই হোক তা ছাপা যেতো না। কিন্তু অনলাইন গণমাধ্যম সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই সংবাদ পরিবেশনে সক্ষম। যার কারণে পাঠক যেকোনো সময়ের সংবাদ মুহূর্তেই পেয়ে যান। বলা চলে, এখন তথ্য পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে ওঠেছে অনলাইন পোর্টালগুলো।

এ কথা মানতেই হবে, অনলাইনে তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ বা তথ্য পাওয়ার সুযোগও যেমন সৃষ্টি হয়েছে, অপরদিকে ভুয়া তথ্য, অপতথ্য বা গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্যের চাপে বস্তুনিষ্ঠতা ও নির্ভুলতা বজায় রাখাও কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে দেশে কিছু অনলাইন গণমাধ্যম নিজস্ব স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে। যে কারণে অন্তত কোনো সংবাদ বিশ্বাস করার জন্য সাধারণ পাঠক কিছু অনলাইন গণমাধ্যমের ওপর নির্ভর করে।

রাইজিংবিডি ডটকম পথচলার আজ ১২ বছর পূর্ণ হলো। এই এক যুগ ধরে রাইজিংবিডি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে এবং পাঠকের আস্থা ধরে রাখতে পেরেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, রাইজিংবিডি ডটকম একটি বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরশীল অনলাইন গণমাধ্যম। সকলের ভালবাসা ও অংশগ্রহণের জন্যই রাইজিংবিডি আজ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। এটিই আমাদের প্রাপ্তি।

আট বছরের বেশি সময় ধরে আমি এই নির্ভরশীল অনলাইন গণমাধ্যমটির প্রধান প্রতিবেদকের দায়িত্ব পালন করছি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সংবাদের পাশাপাশি পেশাগত কারণেও বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনার টেবিলে বসার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেও বলতে পারি, রাইজিংবিডির মূল্যায়ন পেশাদার গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হিসেবেই করা হয়। এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের সংবাদকর্মীদের পেশাদারি মনোভাব-আচরণ-কাজ, মালিকপক্ষের গণমাধ্যমবান্ধব আচরণ এবং সর্বোপরি বিশাল পাঠক শ্রেণীর আস্থার কারণে।

পাঠকরা আস্থা আনতে পেরেছেন যে, রাইজিংবিডি কারও পক্ষে নয়, দেশের পক্ষে এবং দশের কথা বলে। ইতিবাচক সংবাদের কথা বলে, ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা বলে। প্রথম থেকেই সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষে যা কিছু ভালো তার প্রতি সমর্থন রাইজিংবিডির একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।

২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল পথচলা শুরু করে রাইজিংবিডি। দীর্ঘ পথচলায় নিউজ পোর্টালটি এখন কোটি কোটি মানুষের প্রিয় সংবাদ মাধ্যম। আজ যুগপূর্তির এ মাহেন্দ্রক্ষণে দেশ-বিদেশে রাইজিংবিডি’র অগণিত পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভান্যুধায়ীদের প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ‘পজিটিভ বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পাঠকপ্রিয় নিউজপোর্টালটি অবিরাম দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

সারাবিশ্বের সর্বশেষ তথ্য যেমন থাকছে, তেমনি মানুষকে সচেতন করতেও সামাজিক দায়বদ্ধতায় কাজ করছে রাইজিংবিডি। আগামীর দিনগুলোতে পাঠকের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় রাইজিংবিডি। ১৩ তম বছরের শুরুর দিনে এটিই আমাদের অঙ্গীকার।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনগুলোয় প্রথম আলোর জমজমাট আয়োজন

২৭ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে প্রথম আলোর। ৪ নভেম্বর ২০২৫ সংখ্যাটিতে লেখা থাকবে বর্ষ ২৮, সংখ্যা ১। যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে প্রথম আলো—এই স্লোগান নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বরে বেরিয়েছিল প্রথম আলোর প্রথম সংখ্যা। ঝকঝকে ছাপা, রঙিন ছবি, ১২ পৃষ্ঠার কাগজ, প্রতিদিন নতুন নতুন ফিচার পাতা, দলনিরপেক্ষতার অঙ্গীকার, বস্তুনিষ্ঠতার চর্চা, পেশাদারত্বের উৎকর্ষ আর নতুনকে মেনে নেওয়ার অবিরাম প্রয়াস—সব মিলিয়ে প্রথম আলো হয়ে ওঠে বাংলাদেশের মানুষের এক অপরিহার্য সঙ্গী। হয়ে ওঠে পরিবারেরই একজন। অল্প কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম আলো লাভ করে সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকের সম্মান। নানা রকমের বাধা, প্রতিকূলতা পেরিয়ে সত্যে তথ্যে প্রথম আলো আজ শুধু একটা কাগজ নয়, একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে প্রথম আলো লাভ করেছে বাংলাভাষী পাঠকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা, তেমনি ওয়ান–ইফরা বা ইনমার মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন থেকে এ গণমাধ্যম লাভ করছে সম্মানজনক স্বীকৃতি, বিশ্বসেরা আর এশিয়া সেরার পুরস্কার।

প্রথম আলোর ঢাকা অফিস থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে বেজে উঠেছে উৎসবের আনন্দলহরী। জেলায় জেলায় চলছে প্রথম আলোর লেখক–সুধী পাঠক আর শুভানুধ্যায়ীদের সম্মিলনীর প্রস্তুতি। কাগজে, অনলাইনে, ভিডিও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের জন্য কর্মী আর অংশীজনদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে কর্মচাঞ্চল্য।

প্রথম আলো কাগজটি মোট ৪ দিন প্রকাশিত হবে বর্ধিত কলেবরে। ৪ দিনে থাকবে ৪টি ক্রোড়পত্র। লিখবেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে সেরা লেখকেরা। থাকবে দেশবরেণ্য শিল্পীদের আঁকা প্রচ্ছদ।

৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার বের হবে ‘বৈষম্য পেরিয়ে’

২০২৪ সালের বিপুল অভ্যুত্থানে ছাত্র–জনতা পথে এসেছিল বৈষম্যের বিলোপ চেয়ে। এই ক্রোড়পত্রে লেখকেরা খুঁজে দেখছেন রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামোয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও রাজনীতির অঙ্গনে বৈষম্যের রূপ। খোঁজার চেষ্টা করেছেন উত্তরণের উপায়।

৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার প্রকাশ পাবে ‘বৈষম্যের অন্দরে’

সমাজ আর জনগোষ্ঠীর গভীরে থেকে যাওয়া বৈষম্য প্রতিফলিত হয় রাষ্ট্রে। আবার রাষ্ট্রীয় বৈষম্য সামাজিক বৈষম্যকে ভিত্তি দেয়। দেশের নারী–লেখক ও ভাবুকেরা উন্মোচন করে দেখিয়েছেন সমাজে ছড়িয়ে থাকা নানা বৈষম্যের চেহারা।

৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার আসছে ‘তারুণ্যের দিগন্ত’

তরুণদের সামনে নতুন পৃথিবীর আহ্বান। কিন্তু সে আহ্বানে সাড়া দেওয়ার পথে শত বাধা ও বৈষম্যের প্রাচীর। আবার তরুণেরাই সেসব বৈষম্যের বাধা উপড়ে ফেলে এগিয়ে চলেন। তরুণদের পথের সেসব বাধা আর বাধা পেরোনোর গল্প নিয়ে এই ক্রোড়পত্র।

৭ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার প্রকাশিত হবে ‘আলোর গল্প’

সাংবাদিকতা শেষ পর্যন্ত জনমানুষের জন্য। সত্য ও তথ্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য প্রথম আলো সেসব মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। প্রথম আলোর নানা উদ্যোগের লক্ষ্যও মানুষ। এই ক্রোড়পত্র গত একটি বছরে প্রথম আলোর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গল্পের সমাবেশ।

অনলাইনে থাকছে আকর্ষণীয় আয়োজন

লেখা, ছবি, ভিডিও, পডকাস্টসহ নানা কনটেন্ট দিয়ে সাজানো হবে প্রথম আলো ডটকম, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দালোকিত দিনগুলোতে প্রথম আলো ডটকম থাকবে জমজমাট। পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে প্রথম আলোর ফলোয়ারদের জন্য থাকবে বাড়তি কিছু, উৎসবের উপহার।

প্রথম আলোর কর্মীরা মিলবেন প্রীতিসম্মিলনীতে

৪ নভেম্বর প্রথম আলো তার সব কর্মীকে নিয়ে আয়োজন করতে যাচ্ছে প্রীতিসম্মিলনী। রাজধানীর একটি বড় মিলনায়তনের একাধিক হলরুমজুড়ে বসবে এই আসর। তাতে সারা দেশের প্রথম আলো প্রতিনিধি, ঢাকার সর্বস্তরের স্টাফদের সঙ্গে যোগ দেবেন প্রথম আলোর আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরাও। থাকবেন অতিথি বক্তা ও শিল্পীরা।

প্রথম আলো বন্ধুসভার একটি করে ভালো কাজ

এরই মধ্যে সারা দেশে প্রথম আলোর শতাধিক বন্ধুসভা ‘একটি করে ভালো কাজ’ শীর্ষক কর্মসূচি পালন করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সুধী সম্মিলনী আয়োজনের জন্য প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বন্ধুসভা কাজ করে চলেছে উৎসাহের সঙ্গে। ঢাকা বন্ধুসভাও ১৩ নভেম্বর আয়োজন করতে যাচ্ছে বন্ধুদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব।

২০২৩ সালে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান ছিল ‘হারবে না বাংলাদেশ।’ গত বছর প্রথম আলো বলেছিল ‘জেগেছে বাংলাদেশ’। সত্যে তথ্যে ২৫, সত্যে তথ্যে ২৬ পেরিয়ে এল ২৭ বছর পূর্তির উৎসব।

প্রথম আলো আজকের দিনে, যখন চারদিকে ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি, যখন দেশবাসী অনিশ্চয়তার ধোঁয়াশার মধ্যে দিগন্তে তাকিয়ে আছেন আলোকরেখার জন্য, তখন প্রথম আলো ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কী স্লোগান নিয়ে আসছে? জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টা পরই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনগুলোয় প্রথম আলোর জমজমাট আয়োজন
  • নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
  • এআই খাতের অনেক বিনিয়োগই ব্যর্থ হতে পারে, আশঙ্কা বিল গেটসের