জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪–২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ‘এ, বি, সি, ডি ও ই’ ইউনিটে প্রথম পর্যায়ে বিষয়প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি প্রক্রিয়া আগামীকাল ২৭ এপ্রিল (রবিবার) শুরু হবে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ৫ মে (সোমবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট https://jnuadmission.

com-এ নিজ নিজ প্যানেলে লগইন করে অনলাইনে ভর্তি ফি জমা দিতে হবে। ফি পরিশোধের পর শিক্ষার্থীদের ২৭ এপ্রিল থেকে ৬ মে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ডিন অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে বিভাগীয় কনফারমেশন স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে।

ভর্তির ফি নির্ধারণ:
বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির ফি ভিন্নভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞান অনুষদ এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের বিভাগগুলোতে ভর্তির ফি (ব্যবহারিক ক্লাসসহ) ১২ হাজার ৪০০ টাকা। বিজনেস স্টাডিজ, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটগুলোর জন্য ফি ১০ হাজার ৪০০ টাকা। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন, সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগ এবং চারুকলা অনুষদের ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ক্লাসসহ ভর্তি ফি ১২ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করতে শিক্ষার্থীদের নিম্নোক্ত কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে—
১. এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র
২. ভর্তি পরীক্ষার ইনভিজিলেটর স্বাক্ষরিত অ্যাডমিট কার্ড
৩. অনলাইনে পূরণ করা ভর্তি ফরমের প্রিন্ট কপি
৪. সদ্য তোলা চার কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে ভর্তি ফি পরিশোধ না করলে প্রাপ্ত বিষয়টি বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই, সময়মতো সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ঢাকা/লিমন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জমিজমার বিরোধে থানায় সালিসে গিয়ে ‘রাজনৈতিক মামলায়’ গ্রেপ্তার যুবক

জমিজমা–সংক্রান্ত বিরোধে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় সালিসে আসা এক যুবককে ‘রাজনৈতিক মামলায়’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই যুবকের মা আনারা বেগম এ কথা জানান।

গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম আল-আমিন (৩২)। তাঁর বাড়ি নগরের বলাশপুর এলাকায়। মায়ের দাবি, আল-আমিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। সালিসে জমিজমার কাগজ ঠিক থাকায় সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে রাজি না হলে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

তবে পুলিশ বলছে, ওই যুবক যুবলীগের সমর্থক। তাঁকে গ্রেপ্তারে কয়েকবার বাড়িতে অভিযানও চালিয়েছে পুলিশ। থানায় তাঁকে পেয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে তাঁকে নগরের কেওয়াটখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আল-আমিনের মা আনারা বেগম বলেন, ২০২১ সালে বলাশপুর এলাকায় স্বামীর পেনশনের ১৭ লাখ টাকায় ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ জমি কেনেন তাঁরা। এর আগে ২০০৮ সালে একই দাগে ৪ শতাংশ জমি কেনার দাবি করে ২০২২ সালে জোরপূর্বক সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেন এক ব্যক্তি। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ৫ আগস্টের পর সরকার পরিবর্তন হলে নিজের কেনা জমিতে বাড়ি করার উদ্যোগ নিলে বাধা হয়ে দাঁড়ান ওই ব্যক্তি ও তাঁর পক্ষের লোকজন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় উভয় পক্ষকে ডাকা হয়। গত শনিবার রাত আটটায় থানায় সালিস শুরু হয়। চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। সালিসে শেষ পর্যায়ে যখন জমির কাগজপত্র তাঁদের ঠিক পান সালিসকারীরা, তখন ওসি আল-আমিনকে তাঁর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হাড়গোড় ভেঙে ফেলার হুমকি দেন। পেছনে পেছনে তিনি গিয়ে প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করা হয়। এরপর আল-আমিনকে গারদে ঢুকিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় সাজানো রাজনৈতিক মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আনারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো রাজনীতি করে না। আমার ছেলে ব্যবসা করে। তাকে রাজনৈতিক মামলায় পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছে।’

২৭ জুলাই আল-আমিনকে আদালতে পাঠানোর প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১টা ৩৫ মিনিটে পুলিশের টহল দল নগরের আকুয়া ভাঙ্গাপুল এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে সদরের উত্তর দাপুনিয়ার সরকারি পুকুরপাড় সেলফি নামের স্থানে পাকা রাস্তার ওপর একদল সন্ত্রাসী জনতাবদ্ধ হয়ে রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি ভাঙচুর ও দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫টি মশাল, ২০টি লাঠি, ৩০টি ইটের টুকরা, ২৫টি কাচের টুকরা জব্দ করা হয়। এ ঘটনার পরদিন পুলিশ কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আল-আমিনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ২৬ জুলাই রাত ১১টা ৪০ মিনিটে নগরের কেওয়াটখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রতিবেদনে পুলিশ আল-আমিনকে যুবলীগের সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করে।

থানার ওই সালিসে থাকা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো. বাবু বলেন, থানা চত্বরের একটি ঘরে এসআই সজীব কোচের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের কাগজপত্র বোঝেন, এমন লোকজন নিয়ে সালিস শুরু হয়। একপর্যায়ে আল-আমিনকে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যায়িত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তাঁকে থানা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।

জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘১০ দিন আগে থেকে দারোগারা তাঁকে (আল-আমিন) ধরার জন্য খুঁজতেছে। ডেভিল হান্টের আসামি সে। আমাদের দুই দারোগা ছয় থেকে সাতবার তাঁর বাড়িতে রেড দিছে। সে যুবলীগের ফ্যাসিস্ট। মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তদন্তে প্রাপ্ত আসামি।’ ওসি বলেন, কোনো কাগজপত্র দিয়ে নোটিশ করে তাঁকে থানায় ডাকা হয়নি। বিচারক যদি মনে করে আমরা তাঁকে ইলিগ্যাল অ্যারেস্ট করেছি, তাহলে আদালত ফাইন্ডিংস দেবেন। আসামিকে থানা থেকে গ্রেপ্তার করা কী নিষেধ আছে?’ আদালতের প্রতিবেদনে ভিন্ন স্থান দেখানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জজ এটার বিচার করবে। যদি এমন কইরা থাকে, সমস্যা কী?’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জমিজমার বিরোধে থানায় সালিসে গিয়ে ‘রাজনৈতিক মামলায়’ গ্রেপ্তার যুবক
  • মৎস্য অধিদপ্তরের দশম গ্রেডের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ