গোপালগঞ্জে কাফনের কাপড় ও চিঠি পাঠিয়ে ব্যবসায়ীর কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি
Published: 26th, April 2025 GMT
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে কাফনের কাপড় ও খোলাচিঠি পাঠিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
জয়দেব ব্যানার্জি ওরফে জয়ন্ত নামের ওই ব্যবসায়ী উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ফুলহারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় খান্দারপাড় বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মুকসুদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে জয়দেব ব্যানার্জি ওষুধের দোকান থেকে বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে ঢোকার সময় ঘরের সামনে সিঁড়িতে একটি ব্যাগ দেখতে পান তিনি। ওই ব্যাগে কাফনের কাপড় ও একটি চিঠি ছিল। চিঠিতে জয়দেবের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। সাত দিনের মধ্যে টাকা না দিলে এবং বিষয়টি জানাজানি করলে ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়।
চিঠির বিষয়ে জয়দেব ব্যানার্জি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে একটি নম্বর থেকে আমার কাছে কল আসে। আমাকে বলে, “জয়ন্ত, আপনারা চিঠি পাননি?” কিছু সময় পরে একটি খুদে বার্তা পাঠায়। যেখানে লেখে, “চিঠি পেয়েছিস, টাকা দিবি না? টাকা না দিলে তোদের ক্ষণে ক্ষণে বিপদ আছে। আর এই কথা কাউকে বলবি না। বললে তোদের জানে মেরে ফেলব।” খুদে বার্তা পাঠানোর ৩০ মিনিট পর আমার বসতঘরের পাশে জ্বালানি কাঠ দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোক এসে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তা না হলে আমাদের বসতঘরে আগুন লেগে যেত। আমরা এ বিষয় নিয়ে খুবই আতঙ্কে আছি।’
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, যে পরিবারের কাছে বেনামে চিঠি ও কাফনের কাপড় পাঠিয়েছে দুর্বৃত্তরা, পুলিশ ওই পরিবারের পাশে আছে। পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করছে। যে নম্বর থেকে কল ও খুদে বার্তা পাঠিয়েছে, ওই নম্বরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র র ব যবস য় জয়দ ব
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’