সম্পর্কে এই ১০ আচরণ কখনোই সহ্য করবেন না
Published: 26th, April 2025 GMT
১. অপমানজনক ও কটু ভাষার ব্যবহার
কাউকে অপমান করা অথবা কটু কথা বলা একধরনের মানসিক নির্যাতন। সঙ্গী প্রায়ই আপনাকে অপমান করলে কিংবা রেগে গিয়ে গালাগাল করলে সহ্য করা উচিত নয়।
২. শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনশারীরিক অথবা মানসিক নির্যাতন দুটিই অপরাধ। শারীরিক আঘাত যেমন একধরনের সহিংসতা, ঠিক তেমনি মানসিক চাপে ফেলে রাখা বা সব সময় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করাও সহিংসতা। গায়ে হাত তোলা কিংবা কিছু নিয়ে ভয় দেখানো সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তোলে।
৩.অতিরিক্ত সন্দেহ ও ঈর্ষা
আপনি কখন কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে যাচ্ছেন, এমনকি কার সঙ্গে কী কথা বলছেন, সব আপনার সঙ্গীর জানার প্রয়োজন নেই। যখন আপনার সঙ্গী নিয়মিত আপনার ফোন চেক করেন বা সব সময় জানতে চান, আপনি কোথায়, কার সঙ্গে—তখন তিনি আপনার ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন। অতিরিক্ত ঈর্ষা একটি সম্পর্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা অন্যকে অপমান করে একধরনের আনন্দ পানউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় যাত্রীকে তুলতে অস্বীকৃতি উবার চালকের
চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য সম্প্রতি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবারের একটি গাড়ি ডেকেছিলেন মাইকেল। গাড়িটি আসার পর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতে যেতেই বাধল বিপত্তি। ‘অতিরিক্ত মোটা’ হওয়ায় চালক তাঁকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানান। যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচের জনপ্রিয় স্ট্রিমার মাইকেল। ওই প্ল্যাটফর্মে তাঁর ৬০ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তিনি তাঁর কল অব ডিউটি গেমপ্লের জন্য পরিচিত।
মাইকেল সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওর শিরোনামে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মজা করছি না। আমার উবার চালক বলেছেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। তাই তাঁর গাড়িতে আমাকে নেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি তিনি আমার দিকে বন্দুক তাক করার হুমকিও দিয়েছেন।’ মাইকেলের ওই ভিডিও পাঁচ কোটিবারের বেশি দেখা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মাইকেল উবারের গাড়িচালককে বলছেন, ‘আপনি এইমাত্র বললেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। আমি কিন্তু আপনার ভিডিও করছি।’ উত্তরে উবার চালক নারী বলেন, ‘এটা যুক্তি আর বাস্তবতার ব্যাপার। আর আমি এটা বলার অধিকার রাখি।’ কিন্তু বাক্যটি শেষ করার আগেই মাইকেল তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘না, আপনি এটা বলতে পারেন না।’ তখন ওই নারী হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পারি। এটা আমার গাড়ি। আপনি এখান থেকে চলে যান।’
বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই উবার চালক বলেন, ‘আপনি কি চান, আমি আমার বন্দুকটা বের করি?’ এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাইকেল গাড়ির দরজা বন্ধ করে সেখান থেকে চলে যান। এক্সে দেওয়া অন্য একটি পোস্টে মাইকেল বলেন, এ ঘটনার কারণে তিনি সেদিন চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেননি।
উবারের নীতি অনুযায়ী, চালকেরা বৈধ কারণ ছাড়া কোনো যাত্রীকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। ওজন, লিঙ্গ, বর্ণ কিংবা ধর্মের ভিত্তিতে কোনো যাত্রীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
এই ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর উবার চালকের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে।