সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন হয়। সেখানে দাবি করা হয় বিসিবি প্রেসিডেন্ট বোর্ডের টাকা নিজের স্বার্থে সরিয়েছেন অন্য ব্যাংকে।

বিবৃতিতে বিসিবি দাবি করে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর স্থায়ী আমানত থেকে মুনাফা বৃদ্ধি হয়েছে ২–৫% আর  ব্যাংকিং অংশীদারদের কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকার বেশি স্পনসরশিপ প্রতিশ্রুতি।

রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য বিবৃতি হুবহু তুলে ধরা হলো…

আরো পড়ুন:

হৃদয়ের শাস্তি হাস্যকর, মোহামেডানের চাপ ছিল কি না সেটা জরুরি না: তামিম 

মানহীন পারফরম্যান্সে ক্রিকেট বাজারে অস্থিরতা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জাতীয় গণমাধ্যমের কিছু অংশে বোর্ডের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিসিবির মতে, এসব প্রতিবেদন ভ্রান্ত, ভুল তথ্যভিত্তিক এবং বোর্ড ও এর সভাপতি জনাব ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে।

বিসিবি তার সকল আর্থিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। সাম্প্রতিক অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে, বোর্ড জনগণ এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রতি প্রতিশ্রুত সাংবাদিকদের সুবিধার্থে নিম্নলিখিত ব্যাখ্যাগুলো প্রদান করছে:

২০২৪ সালের আগস্টে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর জনাব ফারুক আহমেদ বোর্ডের আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকারে রেখেছেন, বিশেষত বিগত বছরগুলোর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের গণআন্দোলনের পর দেশের অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, বিসিবি তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলোর পুনর্মূল্যায়ন করে এবং কৌশলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত গ্রীন ও ইয়েলো জোনভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথেই বোর্ড আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে, বিসিবি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে এবং এর মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা গ্রীন ও ইয়েলো জোনভুক্ত ব্যাংকগুলোতে পুনঃবিনিয়োগ করে। অবশিষ্ট ১২ কোটি টাকা বিসিবির দৈনন্দিন পরিচালন ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে যে, পার্টনার ব্যাংকগুলোর সাথে বিসিবির আর্থিক বিষয়ক লেনদেনে স্বাক্ষরপ্রদানকারী দুজন বোর্ড পরিচালক - বোর্ডের ফিনান্স কমিটি চেয়ারম্যান জনাব ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান জনাব মাহবুবুল আনাম I বোর্ড সভাপতি কোন একক সিদ্ধান্তবলে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের অজ্ঞাতে ব্যাঙ্ক পরিবর্তনের নির্দেশ প্রদান করেন না এবং তিনি ব‍্যাংকিং বিষয়ে স্বাক্ষর প্রদানকারী ননI

বিসিবি অবগত যে, কিছু সুবিধাভোগী মহল এবং ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী, যারা ক্রিকেট প্রশাসনের ভিতরেও সক্রিয়, বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই কারণেও বিসিবি তার আর্থিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিসিবি তার অর্থ ও স্থায়ী আমানত সংরক্ষণের দায়িত্ব ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকের হাতে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কেবল বিসিবির আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি, বরং প্রতিযোগিতামূলক মুনাফা প্রাপ্তির মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করেছে। এর ফলে, পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বিসিবির স্থায়ী আমানত থেকে ২–৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা হয়েছে।

গত ছয় মাসে বিসিবি তার বর্তমান তিনটি ব্যাংকিং অংশীদারের কাছ থেকে আনুমানিক ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ পেয়েছে। এছাড়াও, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিসিবির অংশীদার ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়া গেছে, যা এই আর্থিক সম্পর্কগুলোর দৃঢ়তা ওe গভীরতা নির্দেশ করে।

বিসিবি সর্বোচ্চ মানের আর্থিক শাসন ব্যবস্থা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রকৃত ও তথ্যভিত্তিক উৎস থেকে তদন্ত ও পর্যালোচনাকে স্বাগত জানায়। পাশাপাশি, গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হচ্ছে যেন তারা ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকে, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও এর সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২০২৪ স ল র র আর থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

পণ্য রপ্তানিতে বিলিয়ন ডলারের কাছে ইয়াংওয়ান, অর্ধবিলিয়ন ছাড়িয়ে হা-মীম, মণ্ডল ও ডিবিএল

বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে শীর্ষ অবস্থানটি দক্ষিণ কোরীয় ব্যবসায়ী কিহাক সাংয়ের মালিকানাধীন ইয়াংওয়ান করপোরেশনের। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশীয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের মালিকানাধীন হা-মীম গ্রুপ।

ইয়াংওয়ান ও হা-মীম ছাড়াও রপ্তানিতে সেরা দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা বাকি আট শিল্প গ্রুপ হচ্ছে মণ্ডল গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, অনন্ত, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ, পলমল গ্রুপ, প্যাসিফিক জিনস গ্রুপ ও মাইক্রো ফাইবার গ্রুপ।

সেরা দশে থাকা নয়টি শিল্প গ্রুপের রপ্তানির ৯০ থেকে ১০০ শতাংশই তৈরি পোশাক। এই তালিকায় ব্যতিক্রম শুধু প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে শুরু করে জুতা, আসবাব, প্লাস্টিক ও হালকা প্রকৌশল পণ্য—প্রায় সবই আছে শিল্প গ্রুপটির রপ্তানির তালিকায়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রপ্তানি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে প্রথম আলো বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের শীর্ষ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর এই তালিকা তৈরি করেছে। এনবিআরের পরিসংখ্যান থেকে স্থানীয় বা প্রচ্ছন্ন রপ্তানি ও নমুনা রপ্তানি বাদ দিয়ে প্রকৃত রপ্তানির হিসাব নেওয়া হয়েছে।

এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশ থেকে মোট ৪৬ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ দশ গ্রুপের সম্মিলিত রপ্তানির পরিমাণ ৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন বা ৫২৫ কোটি মার্কিন ডলার, যা মোট রপ্তানির ১১ শতাংশ।

গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক শিল্পগোষ্ঠী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিলো পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স
  • পণ্য রপ্তানিতে বিলিয়ন ডলারের কাছে ইয়াংওয়ান, অর্ধবিলিয়ন ছাড়িয়ে হা-মীম, মণ্ডল ও ডিবিএল
  • লরা উলভার্ট: হিমালয়ের চূড়ায় এক নিঃসঙ্গ শেরপা
  • বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের মৃত্যু
  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন