হার্ভার্ড, এমআইটি, স্ট্যানফোর্ডকে হারিয়ে যেখানে প্রথম বুয়েট
Published: 27th, April 2025 GMT
প্রতিবছর একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে দ্য জনস হপকিনস সেন্টার ফর বায়োইঞ্জিনিয়ারিং ইনোভেশন অ্যান্ড ডিজাইনিং। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল প্রকৌশল বিভাগের একটি প্রতিষ্ঠান। এবারের প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে অংশ নেয় দুই শর বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪৪০টি দল।
সুখবর হলো, প্রতিযোগিতার ‘ডিজিটাল হেলথ ট্র্যাক’ বিভাগে হার্ভার্ড, এমআইটি, স্ট্যানফোর্ড, ক্যালটেকের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হারিয়ে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একটি দল। কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীর দলটির নাম নিওস্ক্রিনিক্স।
যেভাবে অংশ নেওয়া১৭ এপ্রিল দুপুরে ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আধভেজা হয়ে পৌঁছালাম বুয়েটে। নিওস্ক্রিনিক্সের পাঁচ সদস্য ফাহমিদা সুলতানা, এইচ এম শাদমান, সাদাতুল ইসলাম, মো.
সহজ করে বললে প্রাথমিক পর্যায়েই স্তন ক্যানসার শনাক্ত করার এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে নিওস্ক্রিনিক্স। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন নারী নিজেই স্তন ক্যানসারের লক্ষণ বা সম্ভাব্যতা যাচাই করতে পারবেন। ফাহমিদার নিজের পরিবারেও স্তন ক্যানসারের রোগী থাকায় বছর দুয়েক আগেই তিনি এমন একটি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবছিলেন। পরে তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন হাসনাইন আদিল ও সাদাতুল ইসলাম।
শুরুতে হাসনাইন অ্যাপটির ইউআই (ইউজার ইন্টারফেস) বা ফ্রন্টএন্ড এবং সাদি অ্যাপটির প্রোগ্রামিং বা ব্যাকএন্ডের কাজ করেছেন। এরপর দলে যুক্ত হন এইচ এম শাদমান ও পৃথু আনান। শাদমান এই প্রযুক্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করেছেন। পৃথু সামলেছেন স্তনের স্ক্রিনিং বা ছবি তোলার যন্ত্র তৈরির দায়িত্ব। পরিকল্পনা ও উপস্থাপনা দিয়ে পুরো কর্মযজ্ঞকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফাহমিদা। শুধু এই প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করেই যে তাঁরা কাজ করেছেন, তা নয়। সাদাতুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগেও একটি দেশীয় প্রতিযোগিতায় আমাদের এই প্রযুক্তির প্রস্তাবনা জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে কোনো স্বীকৃতি সেভাবে আসেনি। তবে যথেষ্ট পর্যালোচনা পেয়েছিলাম। ফলে নিজেদের ত্রুটিগুলো দূর করে পরের প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়েছে।’
জানুয়ারিতে প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার পর ১০ মার্চ প্রতিযোগিতার ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হয়। ‘ডিজিটাল হেলথ ট্র্যাক’ বিভাগের ছয় ফাইনালিস্টের মধ্যে নিওস্ক্রিনিক্সের সঙ্গে বুয়েটের অন্য একটি দলও ছিল। ১২ এপ্রিল অনলাইনে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই জানানো হয় বিজয়ীদের নাম।
প্রাথমিক পর্যায়েই স্তন ক্যানসার শনাক্ত করার এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে নিওস্ক্রিনিক্স।উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা মার্চে
প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।
আরো পড়ুন:
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না।
মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”
বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।
২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।
৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক