বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বরাবরই সতর্ক এই বলিউড তারকা। তারপরেও কি সমালোচনা তার পিছু ছেড়েছে! এবার নিজেই সমালোচনার রসদ জোগালেন তিনি।  শাহরুখের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিলো বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিক জোনাসের সঙ্গে ঘর বাঁধার পর, সেই আলোচনা থেমে গেছে।

এ ছাড়া কাজলের সঙ্গে শাহরুখের গভীর বন্ধুত্বের কথা শোনা যায়। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে প্রেমের কথা কি শুনেছেন?—হয়তো শোনেননি। কিন্তু পাঠানের এই জুটির রোমান্সে বুঁদ হয়েছিল সিনেপ্রেমীরা। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্যা ওয়াল জানিয়েছে, দীপিকাই শাহরুখের প্রাক্তন।

কথা শুনে অবাক হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি তা নয়। এটি শাহরুখের নতুন সিনেমার প্রচারণার অংশ। গণমাধ্যমের তথ্য,  শাহরুখ এবার এমন এক সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন, যে সিনেমাতে য়েছে পারিবারিক আবেগ, প্রেম, অতীত আর ভবিষ্যৎ—এর গল্প। সিনেমার নাম ‘কিং’। 

সিনেমাতে মেয়ের ভূমিকায় দেখা যাবে শাহরুখ কন্যা সুহানাকে। দীপিকাকে দেখা যাবে শাহরুখের প্রাক্তন প্রেমিকার ভূমিকায়।

মজার ছলে ভারতীয় গণমাধ্যমকে শাহরুখ বলেছেন,  দীপিকা আমার প্রাক্তন প্রেমিকা, সুহানার মা।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ