অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার কমেডিয়ান কাঞ্চন মল্লিক। ডায়েরিয়া ও বমির কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হলে ‘বন্ড সই’ দিয়ে ছুটি নিয়ে ফের শুটিংয়ে ফেরেন। শুটিং শেষে আবারো হাসপাতালে ভর্তি হন এই অভিনেতা।

ভারতীয় গণমাধ্যমে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “হঠাৎ অতিরিক্ত গরম পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই শুটিং করেছি। সে কারণেই একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। আবার জল-খাবার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে থাকতে পারে। বিপাকক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। শরীর পানিশূন্য হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।”

নতুন একটি সিনেমায় অভিনয় করছেন কাঞ্চন। এ সিনেমার শুটিং চলকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কিছুটা সুস্থ অনুভব করলে, জোর করেই আবার শুটিংয়ে যোগ দেন। এ তথ্য জানিয়ে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “এজন্য হাসপাতালে বন্ড সই করতে হয়েছিল। বানতলাতে তখন জোরকদমে শুটিং চলছে। আমি গিয়েছি। শুটিং করেছি। আবার হাসপাতালে ফিরে, স্যালাইন নিয়েছি।”

আরো পড়ুন:

সেই ময়ূখকে ‘গাধা’ বললেন অভিনেতা ঋত্বিক

পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে রিল বানায়: স্বস্তিকা

কাঞ্চন এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। বাসায়ও ফিরেছেন। অসুস্থ শরীর নিয়েও শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কাঞ্চনের স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ বলেন, “এটা প্রমাণিত সত্য যে, কাঞ্চনের প্রথম প্রেমিকা, প্রথম বউ হচ্ছে কাজ।”

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শ্রীময়ী চট্টরাজ বলেন, “গত ১৩-১৪ এপ্রিল থেকে কাঞ্চনের প্রায় দিন-রাত শুটিং চলছিল। সারারাত জেগে শুটিং করেছে। ১৫ তারিখে কাঞ্চনের প্রচণ্ড বাড়াবাড়ি হয়। লুজ মোশন আর বমি শুরু হয়। ওষুধ খেয়ে কাঞ্চন সেটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কাঞ্চন হাসপাতালে ভর্তি হতে চায় না। ১৬ তারিখে কাঞ্চন আর পারছিল না। সেদিন সকালে অন্য শুটিং, রাতে ‘রক্তবীজ টু’-এর শুটিং ছিল। সেখান থেকে ও ফোন করে জানায় যে, ও আর পারছে না। ওই রাতে কাঞ্চনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ আজ, কোথায়, কখন, কোন দল

ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকায় আজ বৃহস্পতিবার একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দল।

বিক্ষোভের আগে বায়তুল মোকাররম, জাতীয় প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় দলগুলো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি চলবে।

প্রায় অভিন্ন দাবিতে সাতটি দল তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকায়, আগামীকাল শুক্রবার বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে দলগুলোর।

জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এই কর্মসূচি পালন করবে। সাতটি দলের কেউ ৫ দফা, কেউ ৬ দফা, কেউ ৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সবার মূল দাবি প্রায় অভিন্ন। দাবিগুলো হচ্ছে

জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে (কেউ কেউ উচ্চকক্ষে) সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করা

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

সাড়ে চারটায় জামায়াত

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকের সামনে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াত। সমাবেশে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।জোহরের পর ইসলামী আন্দোলন

জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।আসরের পর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ কর্মসূচিতে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ ছাড়া খেলাফত মজলিস বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। এতে দলের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন।

একই সময়ে, একই জায়গায় মিছিল করবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও। বিকেল চারটায় একই জায়গায় বিক্ষোভ করবে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।

আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজধানীর মধ্য এলাকায় একযোগে সাতটি দলের বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘিরে নেতা-কর্মীদের সমাগমে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য নগরবাসী দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে পারেন। যদিও আজ ও আগামীকাল সকালে বিসিএস পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য এই সাত দল কর্মসূচি বিকেলে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ