ভালো গান শ্রোতারা খুঁজে বের করেই শুনতে ভালোবাসেন: রুনা লায়লা
Published: 27th, April 2025 GMT
বিটিভির গত বছরের ঈদ ‘আনন্দমেলা’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে উপমহাদেশের বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা গেয়েছিলেন ‘চলো গানে গানে গড়ি নতুন পৃথিবী’ গানটি।
আনজীর লিটনের কথায় আশরাফ বাবুর সুরে রুনা লায়লার সঙ্গে এই গান গেয়েছিলেন এ প্রজন্মের জনপ্রিয় চার কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা, ইমরান, সাব্বির ও ঝিলিক। সেই গানই এখন ‘বিটিভি মিউজিক’-এ প্রচার হচ্ছে।
ইউটিউব চ্যানেলটিতে প্রচারের পর এখন পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন গানটি। অর্থাৎ এই গানের প্রতি শ্রোতাদের বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
রুনা লায়লা বলেন, “টিভির ঈদ আনন্দমেলায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার গান গাওয়া হয়েছে। গত বছর বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান আনন্দমেলার জন্য ‘নতুন পৃথিবী’ গানটি গেয়েছিলাম। এটি প্রচারের পর ইউটিউবেও গানটি যে শ্রোতারা বেশ আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করছেন, এটা অবশ্যই ভালো বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, ভালো গান শ্রোতারা খুঁজে খুঁজে বের করেই শুনতে ভালোবাসেন। যে কারণে গানটি বেশি বেশি মানুষ উপভোগ করছেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’