ইউরোপের পর এশিয়ার মঞ্চেও শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। শনিবার রাতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে সৌদি ক্লাব আল নাসর ৪-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে জাপানের ইয়োকোহামা এফ. মারিনোসের বিপক্ষে। এতে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে রোনালদোর দল।

প্রিন্স আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে আল নাসর। বল দখল থেকে আক্রমণ, প্রতিটি বিভাগেই এগিয়ে ছিল তারা। ২৭ মিনিটে আল নাসরকে এগিয়ে দেন দলের নতুন সেনসেশন জন ডুরান। ৪ মিনিট পর ওতাভিওর অ্যাসিস্ট থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাদিও মানে।

৩৮ মিনিটে গোলের খাতা খোলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ব্রজোভিচের শট ফিরিয়ে দেওয়া বল থেকে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন পর্তুগিজ তারকা। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি তার অষ্টম গোল। পেশাদার ক্যারিয়ারে রোনালদোর মোট গোল সংখ্যা এখন ৯৩৪টি। হাজার গোলের মাইলফলক ছুঁতে তার প্রয়োজন আর মাত্র ৬৬টি গোল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের আলো ছড়ান ডুরান। নিজের দ্বিতীয় গোল করে চলতি এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে চার ম্যাচে চার গোলের মালিক হন তিনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে তার গোল সংখ্যা এখন ৯। ইয়োকোহামার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন কোটা ওয়াতানাবে, যিনি পরে দুটি হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তবে একজন বেশি নিয়েও আর গোল বাড়াতে পারেনি আল নাসর। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এএফস

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশকে পেনাল্টি না দেওয়া রেফারি ও তার স্ত্রীর ‘ফেসবুক লক’

শেষ মুহূর্তে পেনাল্টির আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় বদলে যেতে পারত ম্যাচের ফলাফল। কিন্তু রেফারির সেই এক সিদ্ধান্তেই শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তাই যত আলোচনা রেফারি ক্লিফোর্ড দায়পুয়াতকে ঘিরেই।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সিঙ্গাপুরের ইরফান নাজিব ডিবক্সে ফাউল করেছিলেন বাংলাদেশের মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে। ফাহিম পড়ে যাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির আবেদন করে বাংলাদেশ দল। তবে বাঁশি বাজাননি দায়পুয়াত।

এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় রেফারিং নিয়ে সমালোচনার ঝড়। এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে সিদ্ধান্তকে ঘিরে দায়পুয়াত ও তার স্ত্রী কেসা রুথকে ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। পরিস্থিতি এতটাই তিক্ত হয়ে ওঠে যে, শেষমেশ নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইল লক করে দিতে বাধ্য হন তারা। বর্তমানে ফেসবুকে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, দুজনের প্রোফাইলই লক করা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সমালোচনার মাত্রা সহনীয় না হওয়ায়ই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেফারি ও তার স্ত্রী।

মাত্র ২০ বছর বয়সে রেফারিং শুরু করেছিলেন ক্লিফোর্ড দায়পুয়াত। ২০১৯ সালে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইরাক-কম্বোডিয়ার ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের সামনে। এরপর ২০২১ সালের এএফসি কাপেও ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রে এমনভাবে এর আগে কখনও আসেননি।

এই ম্যাচের পর ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলেও হালকা নড়চড়। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে শীর্ষে সিঙ্গাপুর ও হংকং। আর ১ পয়েন্ট করে নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে বাংলাদেশ ও ভারত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশকে পেনাল্টি না দেওয়া রেফারি ও তার স্ত্রীর ‘ফেসবুক লক’