সঞ্জয়লীলা বানসালি তার ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ‍সিনেমা মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল আগামী মাসে। কিন্তু শুটিং শেষ না হওয়ায় পেছানো হয়েছে মুক্তির তারিখ। দু’দিন আগের খবর অনুযায়ী রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট ও ভিকি কৌশল অভিনীত সিনেমাটি ১৪ আগস্ট মুক্তি দিতে চাইছেন সঞ্জয়লীলা বানসালি।

মজার বিষয় হল- ঠিক একই দিনে কার্তিক আরিয়ানের ‘নাগজিলা’ সিনেমা মুক্তির ঘোষণাও হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, বছরের শুরুতে ম্যাডক ফিল্মস জানিয়েছিল, বরুণ ধাওয়ান অভিনীত ‘ভেদিয়া ২’ একই সপ্তাহে মুক্তি পাবে।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলিউড হাঙ্গামা জানিয়েছে, ‘ভেদিয়া ২’ সিনেমা মুক্তিতে দেরি হচ্ছে। ম্যাডক ফিল্মসের দিনেশ ভিজান এবং তার টিম ইতিমধ্যেই নতুন মুক্তির তারিখ খুঁজছেন।

সূত্র আরও জানিয়েছে, একই দিনে তিনটি বড় ছবি মুক্তি পেলে স্ক্রিন শেয়ারিং নিয়ে বড় সমস্যা তৈরি হত। তবে ‘ভেদিয়া ২’ পিছিয়ে যাওয়ায় ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ও ‘নাগজিলা’ একসাথে মুক্তি পেতে পারবে। দুটি ছবি ভিন্ন ঘরানার, এবং উভয়ই তারকাবহুল। ফলে দর্শকদের মধ্যে দারুণ উত্তেজনা তৈরি হবে এবং হলে টানবে।

তবে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ মুক্তির তারিখ এখনও চূড়ান্ত নয়। শিগগিরিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ১৪ আগস্ট তাঁদের ইচ্ছার তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

অন্যদিকে, ‘নাগজিলা’ সিনেমার নির্মাতারা মনে করেন, এই তারিখটি তাদের ছবির জন্য একেবারেই উপযুক্ত, কারণ, ছবিটি সাপ নিয়ে। আর ১৭ আগস্ট নাগ পঞ্চমী হওয়ায় তারা ১৪ আগস্ট মুক্তির পরিকল্পনা করছেন।

‘ভেদিয়া ২’ একমাত্র হরর-কমেডি সিনেমা নয় যেটি পিছিয়ে গেছে। ম্যাডক হরর কমেডি সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের আরেকটি ছবি ‘শক্তি শালিনী’, যাতে কিয়ারা আদবানি অভিনয় করেছেন। সেটির মুক্তিও পিছিয়ে গেছে। এটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫-এ আসবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রণব র ক প র ক র ত ক আর য় ন আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ