চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের বৈঠক
Published: 27th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ সফরে আসা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে দেশের চলমান রাজনীতি, তারুণ্যের ভাবনা, সংস্কার, বিনিয়োগ ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে এ বৈঠক হয়। আজ রোববার ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দলের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের পেং জিউ বিন। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী দলের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। দলটির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক বেলাল নূর আজিজী, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ সজল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে দেশের চলমান রাজনীতি, তারুণ্যের ভাবনা, সংস্কার, বিনিয়োগ ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক অবস্থা এবং ইসলামী আন্দোলনের বর্তমান ও আগামীর পথচলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘জুলাই গণহত্যা’ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগ এবং ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান ও প্রত্যাশা নিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও মতবিনিময় হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া দুই দেশের (চীন ও বাংলাদশ) মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়নে দুই প্রতিনিধিদল প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’