খাল-নালায় পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) গাফিলতি আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদকের একটি দল চসিক ও সিডিএ কার্যালয়ে যায়। সেখানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। পরে খাল-নালা এলাকা পরিদর্শন করে দুদক কর্মকর্তারা জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে খালপাড়ে প্রস্তাবিত রেলিংয়ের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে পরিদর্শনকালে দৈর্ঘ্যের মিল পাওয়া যায়নি। আরও কিছু অনিয়ম দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘সম্প্রতি খালে পড়ে একটি শিশু মারা গেছে। চসিক ও সিডিএর এ ক্ষেত্রে কোনো দায়দায়িত্ব আছে কিনা, মূলত আমরা সেটি যাচাই করছি। আমরা সিডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট আরও যারা আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।’ 

শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সিডিএ কেন তদন্ত কমিটি গঠন করেনি, সেটা খতিয়ে দেখা হবে জানিয়ে দুদকের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এর আগে একই ধরনের আরও ঘটনা ঘটেছে, সেসব বিষয়েও সিডিএ তদন্ত কমিটি করেনি। কেন কমিটি গঠন হলো না, সেটা আমরা দেখব।’

এ বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো.

নুরুল করিম বলেন, ‘আমরা যে জলাবদ্ধতা প্রকল্প করছি, সেটার বিষয়ে দুদকের দল কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে। আমাদের প্রকল্প পরিচালক তাদের সব জানিয়েছেন। কিছুদিন আগে এখানে একটি শিশু মারা গেছে। এ বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। দ্রুতগামী অটোরিকশা উল্টে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। যে খালের ঘটনা, সেখানে আমরা এখনও কাজ শুরু করিনি। পর্যায়ক্রমে খালের কাজ হচ্ছে।’

পরে দুদক টিম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে যায়। সেখানে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে। এ বিষয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সিডিএ ৩৬টি খাল খননের কাজ করছে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই জায়গা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলী ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সেখানে খাল ও নালার পাড়ে বাঁশের রেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। দুর্ঘটনার এক-দুই দিন আগে সিডিএ কিংবা যারা কাজ করছেন, তাদের কাজের জন্য এক্সক্যাভেটর নামাতে গিয়ে বাঁশের রেলিংটি ভাঙতে হয়েছে। এরপর দুর্ঘটনা ঘটে।’

গত ১৮ এপ্রিল রাতে নগরের চকবাজার কাপাসগোলায় হিজড়া খালে ব্যাটারিচালিত রিকশা উল্টে গেলে মায়ের হাত থেকে ছিটকে পড়ে ছয় মাসের শিশু সেহেরিজ প্রাণ হারায়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত প রকল প দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।

উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”

বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।

ঢাকা/রাহাত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ