ঢাবি প্রশাসনকে রাজনীতির বাইরে রাখতে চান উপাচার্য
Published: 27th, April 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, “আমরা সরকারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাই। না হলে নানা চাপে আমাদের কোমর বাঁকা হয়ে যাবে। দলীয় সরকারের সময় এসব চাপ প্রকট হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে রাজনীতির বাইরে রাখতে চাই।”
রবিবার (২৭ এপ্রিল) উপাচার্যের অফিস সংলগ্ন লাউঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ‘ফ্লোর বর্ধিতকরণ প্রকল্পে’ আল আরাফা ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আল আরাফা ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ দিয়ে উপাচার্য বলেন, “এটাকে একটা চেক হিসেবে দেখার অবকাশ নেই। আমি মনে করি, এই চেক হস্তান্তর দিয়ে আমাদের সম্পর্ক শুরু হলো। আমরা এ সর্ম্পককে আরো দীর্ঘ ও টেকসই করতে চাই।”
আরো পড়ুন:
মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে ঢাবি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন
শিক্ষা বিনিময় কার্যক্রমকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে: ঢাবি উপাচার্য
অ্যালামনাইদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনাদের সঙ্গে আমরা স্বাভাবিক ও সামাজিক সর্ম্পক রাখতে চাই। আপনারা আসবেন, আমরা আপনাদের কাছে যাবো। আমাদের মধ্যে একটা যোগাযোগ থাকবে। যার মাধ্যমে একটা সামাজিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে। দিনে দিনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছি আমরা। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বের করে আনতে হবে। এ সম্পর্কগুলোকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই। ভুল করলে একসঙ্গে করব, সঠিক করলেও একসঙ্গে করবো। কোনো ব্লেমগেইম থাকবে না।”
এ সময় ঢাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা